(বাঁ দিকে) নন্দীগ্রামে নিহত বিজেপি কর্মী।— নিজস্ব চিত্র। কলকাতা হাই কোর্ট। (ডান দিকে)।— ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নন্দীগ্রামে ভোটের আগে খুন হয়েছিলেন রথিবালা আড়ি। বিজেপির ওই মহিলা কর্মীর খুনের ঘটনায় হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁর কন্যা মঞ্জু। সেই মামলাতেই শুক্রবার উচ্চ আদালতে রিপোর্ট দিল রাজ্য সরকার। মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে উঠেছিল। তবে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
রথিবালা হত্যার ঘটনার তদন্ত আপাতত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবারও তাদের আইনজীবী সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের তদন্তের উপর তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চান।
এই মামলায় আগেই রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। শুক্রবার রাজ্য সেই রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দিয়েছে। শুনানি না হলেও বিচারপতি সিংহ জানিয়েছেন, আপাতত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। পরবর্তী শুনানির দিন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
গত ২৫ মে তমলুকে ভোটগ্রহণ হয়। তার আগে ২৩ তারিখ নন্দীগ্রামে খুন হন রথিবালা। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন এলাকায়। তাঁর পুত্রও বিজেপি করেন। অভিযোগ, ২৩ মে রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। স্থানীয় সূত্রে দাবি, রথিবালার পুত্রই ছিলেন দুষ্কৃতীদের ‘টার্গেট’। তাঁকে বাঁচাতে গেলে রথিবালাকে একাধিক কোপ মারা হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সে দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন রথিবালার পুত্র সঞ্জয়ও। তিনি বেশ কিছু দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। ভোটের আগের দিন সেখানে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রথিবালার কন্যা মঞ্জু আড়ি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। খুনের কিনারা করতে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। শুক্রবার সেই মামলাই শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি সিংহের এজলাসে। আবার শুনানি হবে ২৩ জুলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy