(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
৪৮ ঘণ্টায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১,৬৪৭ কোটি টাকা পেল নবান্ন। মঙ্গলবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৬৫১ কোটি টাকা এসেছিল রাজ্যের তহবিলে। বৃহস্পতিবার ফের ৯৯৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। নবান্ন সূত্রে খবর, দ্রুত এই টাকা পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিতে পাঠিয়ে দিতে বলেছে কেন্দ্র। না হলে বাড়তি সুদ গুনতে হবে রাজ্য সরকারকে।
নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, এই টাকার ৬০ শতাংশ যদি এক বছরের মধ্যে খরচ করে ফেলা যায়, তা হলে আবার বরাদ্দ পাবে বাংলা। রাজ্য সরকারের সচিবালয় সূত্রে আরও খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের এর আগে যে বরাদ্দ এসেছিল, সেই টাকা অনেক জেলা খরচ করতে পারেনি। সেই অঙ্ক কম-বেশি ২,৫০০ কোটি টাকা। তা দ্রুত খরচ করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিক়ৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জেলা প্রশাসনে টাকা খরচের ব্যাপারে গয়ংগচ্ছ মনোভাব নতুন নয়। বাম আমলেও তা ছিল। এমনও দেখা গিয়েছে, টাকা পড়ে থেকে থেকে তা দিল্লিতে ফেরত চলে গিয়েছে। অনেকের মতে, এই ধরনের ঘটনা তখনই হয়, যখন কোনও প্রশাসন পরিকল্পনাবিহীন ভাবে চলে। এ বার সেটাকেই ঠিক করতে চাইছে নবান্ন।
১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র বাংলার পাওনা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে মমতা বলেছেন, ছাত্র-যুবদের কর্মসূচি হলেও তিনি যাবেন দিল্লিতে। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলছেন, কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র জন্য অনেক কাজ রাজ্যকে নিজেদের টাকায় করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টাকা এসে পড়ে থাকা রাজ্য সরকারের জন্য একেবারেই স্বস্তির বিষয় নয় বলে মত অনেকের। টাকা যাতে দ্রুত খরচ করা যায়, সেটাই এখন মূল লক্ষ্য নবান্নের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy