ফাইল চিত্র।
‘টাকার পাহাড়’-এর হদিস পাওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী (প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়-‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার অর্পিতাকে আবারও জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে ইডি। শনিবার অর্পিতাকে গ্রেফতারের পর পার্থর মতোই তাঁকেও জোকার ওই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (এখানে ইডির দফতর রয়েছে) থেকে গাড়িতে করে অর্পিতাকে নিয়ে বেরিয়েছে ইডির দল।
শনিবার সকাল ১০টায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। প্রায় সেই সময়ই অর্পিতাকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার অর্পিতাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে দুই বস্তায় মোট সাড়ে ২২ কোটি নগদ টাকা (প্রথমে ২০ কোটি উদ্ধার হয় বলে জানা যায়। পরে টাকার অঙ্ক বেড়েছে।) উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
নগদ টাকার পাশাপাশি দেড় কেজি সোনার গয়না এবং লক্ষাধিক ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। অর্পিতার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সম্পত্তির দলিলও উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পার্থের নাকতলার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বেই অর্পিতার ব্যাপারে তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। তার পরই সেই সন্ধ্যায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শনিবার সন্ধ্যায় অর্পিতাকে বাড়ি থেকে বার করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অর্পিতা দাবি করেন, ‘‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপির চাল। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy