অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুই শিক্ষকের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ সংক্রান্ত কমিটির সেই সুপারিশ এখনই মেনে নিচ্ছেন না সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। তাঁরা বরং কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতিরই পক্ষপাতী বলে খবর। ফলে ওই ফিল্ম স্কুলে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের জল এ বার দিল্লি পর্যন্ত গড়াতে চলেছে।
এসআরএফটিআই-এর চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি নিজে দিল্লিতে গিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে কথা বলবেন। কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আইনি পরামর্শও নেবেন। পার্থবাবুর কথায়, ‘‘ইনস্টিটিউটের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির কথা মাথায় রেখেই দুমদাম শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে না।’’
কেন এই সাবধানতা? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভ্যন্তরীণ অভিযোগ সংক্রান্ত কমিটির বিরুদ্ধেও কোনও কোনও মহল় থেকে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরাও দাবি করেছেন, তাঁদের পক্ষে থাকা বহু তথ্যপ্রমাণ কমিটি অনুসন্ধানের সময়ে অগ্রাহ্য করেছে। ওই কমিটি এসআরএফটিআই-এর শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের একাংশকে নিয়ে গঠিত। নিয়ম অনুযায়ী, কমিটি অনুসন্ধান করে কিছু সুপারিশ করতে পারে এসআরএফটিআই-এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। চেয়ারম্যান ও অধিকর্তাকে দিয়ে গঠিত ওই কমিটিই দেখবে, সেই সুপারিশ আদৌ কার্যকর করা হবে কি না।
পার্থবাবুর কথায়, ‘‘কমিটি শাস্তির সুপারিশ করেছে ঠিকই। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে আগে পরামর্শ করি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে, এই নিয়ে যেন কোনও জটিলতা তৈরি না হয়।’’ তা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের কোনও সদস্যকে দিয়ে যাবতীয় অভিযোগের ‘নিরপেক্ষ’ তদন্ত করানো হতে পারে বলেও ফিল্ম স্কুলের একটি সূত্রের খবর।
একাধিক ছাত্রীর যৌন হেনস্থা ও এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মাস ছয়েক ধরেই উত্তাল দক্ষিণ শহরতলির পঞ্চসায়রে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস। ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান মনে করছেন, ‘‘এটা দেখতে হবে, কোনও অভিযুক্ত যেন পরে ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে অভিযোগ তুলতে না-পারেন। তাই আইনি পরামর্শ দরকার।’’ তবে অভিযোগকারিণীদের এক জন চেয়ারম্যানের ব্যবহারে ‘সংবেদনশীলতার অভাবে’র অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, অভিযোগ করার পরে ইনস্টিটিউটের ভিতরে তাঁকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে— এই অভিযোগ শুনেও চেয়ারম্যান তাঁকে বিদ্রুপ করেছেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy