সঞ্জয় রায়। —ফাইল ছবি।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করল সিবিআই। গোটা ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে সোমবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যুক্তি, শুধু পরিবার নয়, গোটা সমাজ এক জন চিকিৎসককে হারিয়েছে। সেই কারণেই আরজি করের ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’।
গত শনিবারই আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, সঞ্জয়ের অপরাধের জন্য তাঁর সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাবাস হতে পারে। সোমবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণা করবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তার আগে সোমবার বেলায় সঞ্জয়ের বক্তব্য শোনেন তিনি। এর পরেই আদালতে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে সিবিআই।
আদালতে সিবিআইয়ের বক্তব্য, আরজি করের ঘটনায় ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। গোটা ঘটনায় সকলেই স্তম্ভিত। সমাজের সব স্তরকে নাড়িয়ে দিয়েছে ওই ঘটনা। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘যখন ঘটনাটি ঘটেছে, তখন ডিউটিতে ছিলেন ওই চিকিৎসক। শুধু পরিবার নয়, গোটা সমাজ ওই চিকিৎসককে হারিয়েছে।’’
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, সঞ্জয়ের তিন অপরাধের মধ্যে দু’টিতে তাঁর ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। সমাজে আস্থা ফেরানোর জন্যই সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্য দিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবীর আবেদন, তাঁর মক্কেলকে যেন ফাঁসির সাজা না দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশের উদাহরণ টেনে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিবিআই এটাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলছে। মৃত্যুদণ্ড চাইছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে দেখা যাচ্ছে, বিরলের মধ্যে বিরলতম কোনটাকে বলা হয়। মৃত্যুদণ্ডের আগে পর্যাপ্ত প্রমাণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সে সব নির্দেশে।’’ প্রথমেই মৃত্যুদণ্ড না-দিয়ে যাতে দোষীকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়, সে কথাও আদালতে বলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম, পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই নিয়ম মেনেই আরজি কর পর্বের প্রথম দিন থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নাম বা ছবি প্রকাশ করেনি। শনিবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করায় আমরা তাঁর নাম এবং ছবি প্রকাশ করা শুরু করছি।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy