ফাইল চিত্র।
তেরোর গেরোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের (প্রাথমিক) আধিকারিকদের একাংশ। দফতর সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগের সময়ে উপযুক্ত নথিপত্র না থাকায়, ১৩ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল জেলার তরফে। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ওই প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে বিষয়টিকে ‘গুরুত্ব’ দেওয়া হয়নি। তার পরে, আর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি কেউ। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এখন তোলপাড় রাজ্যে। তাই ফের বাঁকুড়ার জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের আলোচনায় উঠে আসছে বছর পাঁচেক আগের সে বিষয়টি।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলার ১১ জন চাকরি খুইয়েছেন। জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের (প্রাথমিক) আধিকারিকদের দাবি, ২০১৭ সালে বাঁকুড়া জেলায় ১,৬২২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ১৩ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল জেলায়। দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, ওই তেরো জনের কেউ দীর্ঘদিন পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কাজ করায়, কেউ প্রাক্তন সেনাকর্মী হিসেবে, কেউ বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার কারণে, কেউ জাতিগত সংরক্ষণে চাকরির প্যানেলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগের আগে, জেলার তরফে তথ্য যাচাই করা হলে, তাঁরা ওই বিশেষ অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য উপযুক্ত নথি জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরে জমা দিতে পারেননি।
জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় ওই প্রার্থীদের নিয়োগে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে বিশেষ মাথা না ঘামিয়ে কাজ করতে বলা হয়। ওই প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছিল।’’ দফতরের কর্তাদের একাংশের দাবি, আদালতের নির্দেশে জেলায় যে ১১ জনের চাকরি গিয়েছে, সে তালিকায় ওই ১৩ জনের কেউ নেই। ওই ১৩ জনের নিয়োগের পিছনে কোনও ‘প্রভাবশালীর’ ভূমিকা ছিল কি না, তা নিয়ে চর্চাও রয়েছে।
‘নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘শুধু ১৩ জন নন, বিশদ তদন্ত হলে অনেকের কথা উঠে আসবে, যাঁদের নিয়োগের বৈধতা নেই। এত বড় দুর্নীতি কোনও এক জন ব্যক্তি চালাতে পারেন না। আরও অনেক রাঘববোয়াল যুক্ত রয়েছেন।’’ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম গরাইও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy