আদালতের নির্দেশ মেনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার ফের শুনানি শুরু করবেন বলে সকালেই জানিয়েছিলেন বিমান। আর সোমবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষকেই তলব করলেন। সূত্রের খবর,শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে হাজির হতে বলা হয়েছে শুভেন্দু ও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলকে।
বিধায়কপদ খারিজ মামলায় মুকুল-শুভেন্দুকে তলব স্পিকারের। ফাইল চিত্র।
শুক্রবার হবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানি। সেই দিন মুকুলের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও হাজির হতে হবে বিধানসভায়। ইতিমধ্যেই মুকুল ও শুভেন্দুকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাদ্যায় তলব করেছেন বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ মেনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার ফের শুনানি শুরু করবেন বলে সকালেই জানিয়েছিলেন বিমান। আর সোমবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষকেই তলব করলেন। সূত্রের খবর,শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে হাজির হতে বলা হয়েছে শুভেন্দু ও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুলকে।
সোমবার সকালে সাংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘‘কোর্ট একটা রিমাইন্ডার পাঠিয়েছে। আমি দেখব। আইনত দেখব, কতটুকু গ্রহণ করা যাবে। দু’পক্ষকে ডেকে হিয়ারিং করব।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায় দেন স্পিকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন খারিজ করে তিনি জানান, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি পরিষদীয় দল। সেই মামলার শুনানিতে ১১ এপ্রিল দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি সংক্রান্ত মামলায় বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ফের এ বিষয়ে শুনানি করবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয় পান মুকুল। কিন্তু ১১ জুন তৃণমূল ভবনে পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যোগ দেন তৃণমূলে। তার পর থেকেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতে লড়াই চালাচ্ছে বিজেপি পরিষদীয় দল। আর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুলের বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি সংক্রান্ত স্পিকারের মন্তব্যে নিজেদের নৈতিক জয় দেখছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিকার, হাই কোর্টের রায়ে তা কার্যত খারিজ হয়ে গেছে বলেই আবেদনকারী পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ২০২১-এর ১১ জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সাংবাদিক বৈঠককে ‘প্রমাণ’ হিসেবে ধরে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy