Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
TMC

ঝাড়গ্রামে জনসংযোগ অভিযানে প্রয়াত বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার ছেলে সুরজিৎ

তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বিধানসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুরজিৎ।

বাবার ছবি সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ সুরজিতের।

বাবার ছবি সঙ্গে নিয়ে জনসংযোগ সুরজিতের। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৩১
Share: Save:

রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণের পরেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে সুরজিৎ। বৃহস্পতিবার প্রয়াত বাবার ছবি সঙ্গে নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরে জনসংযোগ অভিযান শুরু করলেন তিনি। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বিধানসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুরজিৎ।

২০১১ এবং ১৬-র বিধানসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম থেকে জয়ী হয়েছিলেন সুকুমার। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পদেও ছিলেন পেশায় চিকিৎসক তৃণমূল নেতা। গত অক্টোবরে তিনি মারা যান। সুকমারের বাবা প্রয়াত সুবোধ হাঁসদা ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ছিলেন। মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের সাংসদ সুবোধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। সুরজিৎ বলেন, ‘‘দাদু এবং বাবার দেখানো পথেই আমি চলতে চাই।’’

বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটার অজিত মাহাতো এবং তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে শহরের সুভাষপল্লি, আকাশবাণী এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। গত লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। জেলার রাজনীতির কারাবারিদের একাংশ মনে করছেন, আদিবাসী সমাজে হাঁসদা পরিবার সম্পর্কে ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে ঝাড়গ্রাম বিধানসভায় সুরজিৎকে প্রার্থী করতে চলেছে তৃণমূল।

২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী বামের পাশাপাশি নির্দল ছত্রধর মাহাতোকে পরাজিত করেন সুকুমার। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রীও হন । ২০১৬ বিধানসভার নির্বাচনে ফের ঝাড়গ্রাম বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন তিনি। তবে দ্বিতীয়বার বিধায়ক হলেও মন্ত্রিত্ব পাননি। প্রথমে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং পরে রাজ্য বিধানসভার ডিপুটি স্পিকার পদে নিযুক্ত হন। গত বছর ২৯ শে অক্টোবর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুকুমারের মৃত্যু হয়।

সুরজিৎ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘দাদু ও বাবা সমাজের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমিও তাঁদের দেখানো পথেই হাঁটতে চাই। বাবাকে বিধায়ক হিসেবে ১০ বছর ধরে আশীর্বাদ করার জন্য আমি আজ ঝাড়গ্রামের মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’ ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটার অজিত বলেন, ‘‘প্রয়াত বিধায়ক সুকুমারবাবুর ছেলে সুরজিৎ জনসংযোগে নেমেছেন। আমাদের সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Jhargram MLA Sukumar Hansda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE