Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
WhatsApp

হোয়াট্সঅ্যাপের ‘বিকল্প’ বানাতে তৎপর কেন্দ্র, বাজারে আসছে নতুন অ্যাপ

‘সংবাদ’ এবং ‘সন্দেশ’ নামে দু’টি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে পরীক্ষার ইতিমধ্যেই ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

‘সন্দেশ’ অ্যাপের সরকারি প্রচার।

‘সন্দেশ’ অ্যাপের সরকারি প্রচার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:১১
Share: Save:

হোয়াট্সঅ্যাপের বিকল্প আনতে সক্রিয় হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। নেটমাধ্যমে মেসেজে যোগাযোগের নয়া অ্যাপ আনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রক গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে বলে সরকারের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

‘সংবাদ’ এবং ‘সন্দেশ’ নামে দু’টি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে পরীক্ষার ইতিমধ্যেই ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে। অ্যাপ দু’টির সাহায্যে চ্যাট এবং কল (সরাসরি কথা বলা) করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।

হোয়াট্সঅ্যাপের নয়া নিরাপত্তা বিধি ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠিয়েছে হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে। গত জানুয়ারিতে পরিষেবা সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধিতে বদলের ঘোষণা করেছিল হোয়াট্‌সঅ্যাপ। সে সময় তারা জানিয়েছিল, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নয়া বিধি কার্যকর করা হবে। তবে সরকার এবং গ্রাহকদের বাধার জেরে সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রাহকদের ৪৫ শতাংশ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় শঙ্কিত। গ্রাহকদের ২৯ শতাংশ ‘নির্ভরযোগ্য বিকল্প অ্যাপ’ পেলে হোয়াট্‌সঅ্যাপ পরিষেবা ছেড়ে দিতে চান। তাঁদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপটি পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন। অন্যদিকে, ‘সিগন্যাল’ অ্যাপটি ৩৫ শতাংশের পয়লা পছন্দ। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত নয়া সরকারি অ্যাপ এনে গ্রাহকদের ভরসা দিতে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রের খবর, পরীক্ষার পালা শেষ হলেই নয়া অ্যাপ দু’টি জাতীর উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি, মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চালাচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিস সেন্টার’। সেটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘গিমস’ (গভর্নমেন্ট ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস)। প্রসঙ্গত, এর আগে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিকল্প হিসেবে দেশীয় অ্যাপ ‘কু’ এসেছে বাজারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy