প্রতীকী চিত্র।
জঙ্গলে পড়েছিল কঙ্কাল। পাশে থাকা শাড়ি দেখে সেটি গ্রামের এক বধূর বলে দাবি করেন পরিজনেরা। তাঁদের দায়ের করা খুনের অভিযোগে পড়শিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল ধৃতের বাবার। শনিবার বিকেল থেকে রাতের মধ্যে পরপর এই ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার ছাতনার মনিকাডিহিতে। রবিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে বাবার দেহ সৎকার করেন ধৃত স্বপন মাল।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে ঘোষেরগ্রামের মনিকাডিহির জঙ্গলে কাঁটাঝোপের মাঝে শুকনো নালা থেকে উদ্ধার হয় কিছু হাড় ও খুলি। পাশে ছিল লাল-হলুদ ছাপা সুতির শাড়ি। তা দেখে কঙ্কালটি মনিকাডিহির বধূ চন্দনা মালের (৪২) বলে শনাক্ত করেন পরিজনেরা। চন্দনার ছেলে মানিক মাল দাবি করেন, ‘‘৯ অক্টোবর স্বপনের সঙ্গে মা জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়েছিল। খানিক পরে স্বপন ফিরলেও মা ফেরেনি। জরুরি কাজ থাকায় আগে চলে এসেছে বলে জানিয়েছিল স্বপন।’’
মানিকের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ছাতনা থানার পুলিশ বছর চল্লিশের স্বপনকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এর পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ধৃতের অশীতিপর বাবা অনাথ মালের। ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। স্বপনের ভাইপো নিমাই মালের অভিযোগ, ‘‘কাকাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। চন্দনার পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেনি কেন, তা দেখা দরকার।’’ মানিকের দাবি, তাঁরা আত্মীয়দের বাড়ি খোঁজ নিচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।
আরও পডুন: একই পরিবারের ৪ জনের ক্ষতবিক্ষত, ১ জনের ঝুলন্ত দেহ, রহস্য তপনে
আরও পডুন: ১০ মাসে ১০ মামলা, সিবিআইয়ের পর বঙ্গে সক্রিয় এনআইএ-ও
চন্দনা ও স্বপন, দু’জনই দিনমজুর পরিবারের। তদন্তকারীদের দাবি, চন্দনার টাকা ধার নিয়ে স্বপন শোধ না করায় দু’জনের বিবাদ চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জেনেছেন। তবে দুই পরিবারই এ নিয়ে কিছু বলতে চায়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘কঙ্কালটি ওই বধূরই কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।’’ রবিবার বাঁকুড়া আদালত ধৃতকে সাত দিন পুলিশ হেফজাতে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy