আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছেন কুণাল ঘোষ। নিজস্ব ছবি।
তৃণমূলের সর্ব্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজমাধ্যমে করা পোস্ট শেয়ার করছেন না দলেরই একাংশ নেতা। এমনই অভিযোগ দলীয় কর্মীদের একাংশের।
রবিবার রাজারহাটে তৃণমূলের সমাজমাধ্যমের এক কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য স্তরের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং মুখপাত্র ঋজু দত্ত।
সেই কর্মসূচির এক পর্যায়ে উঠে আসে আরজি কর প্রসঙ্গ। সেই সময় কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সমাজমাধ্যমে দলের উপর আক্রমণ নেমে এলে কর্মীদের একাংশ তার জবাব দিচ্ছেন। সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক যা পোস্ট করছেন, তা-ও তাঁরা নিয়মিত রিপোস্ট করে আক্রমণের জবাব দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা লক্ষ করছেন, দলেরই একাংশের নেতা-কর্মী মমতা-অভিষেকের পোস্ট শেয়ার করছেন না। আলোচনার সময় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বৃদ্ধি পেলে নেতারা বলতে বাধ্য হন, কর্মীরা যেন এক জন এক জন করে নিজেদের কথা বলেন। তাঁরা তা অবশ্যই শুনবেন।
পরে কর্মীদের একাংশ নেতাদের সমাজমাধ্যমে সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের অভিযোগ, দলের শীর্ষ নেতাদের আক্রমণ করা হলেও সে ভাবে সমাজমাধ্যমে সরব হন না দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ।
কর্মীদের যাবতীয় অভিযোগ শোনার পর নেতারা আশ্বাস দেন এ বিষয় দলের তরফে সদর্থক পদক্ষেপ করা হবে। এমন আশ্বাসে কর্মসূচির পরিবেশ শান্ত হয়। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা কুণাল বলেন, ‘‘কেউ কেউ নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের একাংশের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ কথা ঠিক যে, আমাদের দলের কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা মমতাদি এবং অভিষেকের পোস্টও শেয়ার করেন না। কিন্তু আমরা তাঁদের কথা শুনেছি, আমরা দলে যা বলার বলব।’’ ঘটনাচক্রে, এই কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে পৌঁছন তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইন-চার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। তখন অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy