তৃণমূল, আইএসএফ সংঘর্ষের পাঁচ দিন পরেও থমথমে ভাঙড়। নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ে তৃণমূল, আইএসএফ সংঘর্ষের পর পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনার পর এলাকায় ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক আইএসএফ কর্মীকে। অভিযোগ, শাসকদলের কোনও কর্মীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বেছে বেছে আইএসএফ কর্মীদেরই গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে।
ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মীদের আরও অভিযোগ, পুলিশের ভয়ে তাঁরা তটস্থ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রেফতারির ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না অনেকে।
এ দিকে, বৃহস্পতি বারও ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি যাতে আবার নতুন করে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যেই প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত শনিবার ভাঙড়ের হাতিশালা সিক্স লেনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীরা। তার পর থেকেই ধরপাকড় চলছে এলাকায়। নওশাদ সিদ্দিকির দলের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা, যাঁরা সে দিন আইএসএফ কর্মীদের আক্রমণ করেছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
আইএসএফের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা হাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই সংঘর্ষের সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়। তাই তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ঘটনার দিন আইএসএফ কর্মীরা বোমা, বন্দুক, লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালান। তাঁদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ।’’
শনিবার ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। ওই দিন কলকাতায় আইএসএফের দলীয় কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথে আইএসএফ কর্মীদের মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিধায়ক নওশাদ। শনিবারই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। যার জেরে ভাঙড়ের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy