‘পাঠান’ ঝড়ে টলিপাড়ায় রাহুল, নীল, স্বস্তিকাদের অনুভূতি। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
বুধবার সকাল থেকে শহর কলকাতার যেন অন্য রূপ। শীতের বিদায় বেলায় আলস্য কাটিয়ে বাঙালি হলমুখী। কারণ, শাহরুখ খান। সকাল ৬টা থেকে সিনেমা হলের বাইরে ভিড়। সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্স সর্বত্র চিত্রটা এক। প্রথম দিন প্রথম শো না হলেও মুক্তির দিনই দেখে ফেলতে হবে ‘পাঠান’। চার বছর পর বড় পর্দায় এসআরকে। মিস করা যে যাবেই না। বাদশার সমর্থনে মহানগরে বেরিয়েছে মিছিলও। ভক্তদের স্লোগান, “হিন্দুস্তান কি শান, শাহরুখ খান।” সাধারণ দর্শক তো রয়েছেন টলিপাড়ার তারকাও কাবু ‘পাঠান’ জ্বরে। কেউ দেখছেন ফার্স্ট শো, কারও একবারে মিটছে না আশ। ‘পাঠান’ নিয়ে কতটা উত্তেজিত রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, নীল ভট্টাচার্য, স্বস্তিকা দত্তরা।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় টলিপাড়ায় বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা বলেই পরিচিত। শাহরুখের অনুরাগী বলেই নিজেকে পরিচয় দিতে সঙ্কোচ নেই তাঁর। প্রিয় তারকার ছবি, তা-ও আবার চার বছর পর। তাই ছবি দেখতে সকাল ১০টার শোতে পৌঁছে যান রাহুল। কেমন লাগল শাহরুখকে? আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘মন ভরল না, আবার দেখতে হবে ছবিটা। প্রতিটা মুহূর্তে একই রকম উত্তেজনা অনুভব করছিলাম। একেবারে পয়সা উসুল করার মতো ছবি।’’ শেষে রাহুলের সংযোজন ‘বস ইজ ব্যাক’!
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ দেখতে গিয়েছিলেন লুঙ্গি পরে। এ বার ‘পাঠান’-এ নতুন কিছু করলেন নীল! গলায় উন্মাদনা তিনি বলেন, ৭টার শোতে দেখে ফেলেছি। সাত বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম। মিস করা যাবেই না। দেখে মনে হল ‘কিং ইজ ব্যাক’।
এখনও ‘পাঠান’ দেখে উঠতে পারেননি স্বস্তিকা দত্ত। শাহরুখকে দেখার উন্মাদনা তো রয়েছে, তেমনই স্বস্তিকার গোপন ব্যথা রয়েছে জন আব্রাহামের প্রতি, জানালেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকার কথায়, ‘‘জনের প্রতি ভীষণ রকম একটা ব্যথা রয়েছে। ‘পাঠান’-এর গান বড় পর্দায় দেখার বিশেষ ইচ্ছে রয়েছে।’’ কালকের মধ্যে ছবি দেখে ফেলার ইচ্ছে রয়েছে অভিনেত্রীর।
২০২৩ সালে বিনোদন জগতের শুরুটা হল ‘পাঠান’ এর মাধ্যমে। চার বছরের প্রতীক্ষার অবসান। ভক্তদের দরবারে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন তাঁদের মসিহা। স্বাভাবিক ভাবে উন্মাদনা যে তুঙ্গে থাকবে, তার আন্দাজ মিলছিল আগে থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy