শিশির অধিকারী। ফাইল চিত্র।
লোকসভার স্পিকারের কাছে চার সপ্তাহ সময় চাইলেন শিশির অধিকারী। মঙ্গলবার একটি চিঠি মারফৎ তিনি এই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর সাংসদপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে স্পিকার শিশিরকে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন। সেই চিঠির উত্তরেই শিশির সময় চেয়ে নিলেন।
শিশিরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সময় চেয়েছেন ওম বিড়লার কাছে।অসুস্থ থাকায় এখনই দিল্লি যেতে পারছেন না তিনি। তাই তাঁকে একমাস সময় দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে আর তাঁকে খুব বেশি বাইরে দেখা যায়নি। এমনকি যেতে পারেননি সংসদের অধিবেশনেও। সূত্রের খবর, অসুস্থতার কারণেই যে তাঁর দিল্লিতে সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাও চিঠিতে স্পিকারকে জানিয়েছেন কাঁথির সাংসদ।
উল্লেখ্য, তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষে জানুয়ারি মাসেই বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজের দাবি জানানো হয়। কারণ, গত বছর ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। চলতি বছর ২৩ মার্চ এগরার বিজেপি-র প্রচার সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্তৃতা করেন কাঁথির সাংসদ শিশির। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর ১৭ মে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে সুনীল-শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানায় তৃণমূল।
১৪ জুন এ বিষয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে স্পিকারকে ফোন করেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি স্পিকার সুনীল ও শিশিরকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলে চিঠি দেন।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময় মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সাংসদ সুনীল।সূত্রের খবর, স্পিকারকে চিঠি দিয়ে সুনীল জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন, এবং আছেন। তিনি বিজেপি-তে যোগদান করেননি, কোনও সদস্যপদও নেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy