সোমবার আদালতে ঢোকার মুখে শাহজাহান শেখ। — নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিতে তাঁর ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র। তাঁর নামে অস্ত্র কেনার রসিদও হাতে পেয়েছে সিবিআই। এনএসজি-কে ডেকে ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র দিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়েছে বোমা। বাংলার রাজনীতি যখন সেই খবরে আলোড়িত, তখন সেই প্রশ্ন যেন শুনেও শুনতে পেলেন না শাহজাহান শেখ। সন্দেশখালি পর্বের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনিই।
শাহজাহান বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয় তাঁকে। আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকেরা শাহজাহানকে সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধারের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু সেই প্রশ্নে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। সম্পূর্ণ নীরব থেকেছেন। চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢুকেছেন।
শাহজাহানের সঙ্গে সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে তাঁর ভাই আলমগিরকেও। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনায় ধৃত তথা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবপ্রসাদ হাজরাকেও আদালতে হাজির করানো হয়। সকলেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
সোমবার সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে আদালতে ঢোকার মুখে হোঁচট খেয়েছেন শাহজাহান। গাড়ি থেকে নেমে কয়েকটি সিঁড়ি পেরিয়ে ছোট্ট দরজা। মাথা নিচু করে সেখান দিয়ে আদালতে ঢোকার পথ। দেখা যায়, শাহজাহান সেই ছোট দরজা দিয়ে ঢোকার পর হোঁচট খেয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তার পর অবশ্য তিনি সামলে নেন।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। অস্ত্র পেয়ে এনএসজিকে খবর দেয় সিবিআই। তারা ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে দিনভর বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায় সন্দেশখালিতে। বেশ কিছু বন্দুক, কার্তুজ এবং একাধিক রসিদ পায় সিবিআই। সেই রসিদে শাহজাহানের নাম ছিল। কলকাতার দোকান থেকে সেই কার্তুজ কেনা হয়েছিল বলে জানতে পারে সিবিআই। সে বিষয়ে বিশদ তদন্ত চলছে। আপাতত সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযান নিয়ে মুখে কুলুপ শাহজাহানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy