রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্য। — ফাইল চিত্র।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে কি ইডি-ই সমন পাঠিয়েছিল? এ নিয়ে শনিবার সরগরম হয়ে উঠল আলিপুর আদালত। শঙ্করের আইনজীবীর দাবি, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তাঁকে ইডি সমন পাঠিয়েছিল হাজিরা দেওয়ার জন্য। কিন্তু শনিবার ইডি আদালতে দাবি করে, তারা কোনও সমন পাঠায়নি শঙ্করকে।
জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্করকে। শুনানির শুরুতেই তাঁর আইনজীবী জানান যে, শঙ্করকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। তখন হাজিরা দেওয়ার জন্য এক মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। পরে ইডি সেই সমনটি অস্বীকার করে। তিনি আরও বলেন, ‘‘সমনে একটা কিউআর কোড আছে। সেই কোড স্ক্যান করলে, অন্য জনের নাম আসছে। রাকেশ সিংহের নাম দেখাচ্ছে। শঙ্কর আঢ্যের নাম ছিল না।’’
এই সমন প্রসঙ্গে আদালতে ইডি জানায় যে, তারা শঙ্করকে কোনও কিছু পাঠায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় ইডি। এ বিষয়ে দু’পক্ষের কথা শুনে বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’
শনিবারের শুনানিতে শঙ্করের আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘বালুর (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) পরিচিত ছিলেন শঙ্কর। কিন্তু পরে তাঁকে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বালুর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকলে ওখানেই সারা জীবন থাকতেন তিনি।’’ উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। তাঁর সূত্র ধরেই ধরা হয় শঙ্করকে।
শঙ্করকে গ্রেফতার করার পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করেছেন। রেশন দুর্নীতির সঙ্গে ওই টাকার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। তারা আরও জানিয়েছিল, ওই ২০ হাজার কোটির মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রাক্তন জ্যোতিপ্রিয়ের।
শনিবারও জামিনের আবেদন করা হয়নি শঙ্করের তরফে। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘জেলে আছি, জামিন চাইছি না। কিন্তু চিকিৎসা করাতে চাইছি। শারীরিক কিছু পরীক্ষার দরকার রয়েছে। সেগুলি আমি নিজের খরচেও করতে পারি।’’ সেই চিকি়ৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেন শঙ্কর।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তের সূত্রে বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় বনগাঁয় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল ইডিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy