শুক্রে ত্রিফলা আন্দোলন। প্রতীকী ছবি।
রাজ্য জুড়ে শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তাতে সমর্থন জানিয়েছে বাম এবং বিজেপি। একই দিনে দু’দলেরই রয়েছে পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই শুক্রবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে। মূল দাবি, অবিলম্বে কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন। অন্য দিকে, একই দিনে রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চা। সব মিলিয়ে শুক্রবারের কলকাতা মিছিলনগরী হয়ে উঠতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে যান চলাচলেও।
কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে রাজ্যে লাগাতার আন্দোলন চলছে। অন্য দিকে, বিষয়টিতে অনড় মনোভাব দেখিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন হলেও শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের যে নীতি তাতে, ধর্মঘট বানচাল করে সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হবে। আর তাতেই সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায়। এমন আশঙ্কা অবশ্য বেশি কলকাতাতেই। কারণ, ধর্মঘটের ডাক দেওয়া সংগঠনগুলি কলকাতায় বেশি শক্তিশালী।
এসএফআইয়ের বিধানসভা অভিযান ঘিরেও কলকাতায় সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সংগঠনের দাবি, ছ’বছর হয়ে গেল রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়নি প্রায় তিন বছর। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে থাকা স্কুল খোলার দাবিতেও এসএফআই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে।
এসএফআইয়ের যা পরিকল্পনা তাতে, শুক্রবার দুপুর ২টোর সময় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল বার হবে। ওই মিছিলগুলি যাবে বিধানসভার দিকে। শিক্ষামন্ত্রী এবং বিধানসভার স্পিকারকে স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যেই হবে অভিযান। শুধু কলকাতা নয়, এসএফআই আশপাশের জেলা থেকেও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসতে চায়। ফলে শহরতলির ট্রেনেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে শুক্রবার। সেই সঙ্গে দু’টি মিছিল কলকাতায় যানজট তৈরি করতে পারে। মিছিল আটকানোয় পুলিশ তৎপর হলে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে বিজেপির কর্মসূচি মূল কলকাতার বাইরে। দলরে তরফে দুপুর ১টায় সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যুব ও মহিলা মোর্চার কর্মীরা মিছিল করে যাবেন স্বাস্থ্যভবনের দিকে। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়া হবে বলেও দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে বিজেপিকর্মীরা করুণাময়ীতে যাবেন। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, ‘‘রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদাসীনতার ফলেই অ্যাডিনোভাইরাসের এক ভাবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা। এর প্রতিবাদেই বিজেপি যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চার যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্য ভবন চলো’ অভিযান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy