লালবাজারের বাইরে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বাম ছাত্র-যুব-মহিলা নেতৃত্ব। ছবি: ফেসবুক।
১৪-১৫ অগস্ট মাঝের রাতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএমের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠনের সাত জনকে নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেই নোটিস নিয়ে সোমবার লালবাজারে হাজিরা দিলেন তাঁরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের ভিতরে ছিলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। বেরিয়ে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মিনাক্ষী বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে বলেছি, আপনারা প্রতিবাদীদের হয়রান করবেন না। কারণ, দোষীদের শাস্তির দাবিতে যে আন্দোলন বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে, তা থামানোর হিম্মত কারও নেই।’’
আরজি করের বাইরে গত ১১ তারিখ থেকে অবস্থান শুরু করেছিল বাম ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন। ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি ছিল। সিপিএমের গণসংগঠনগুলি আরজি করের বাইরেই জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। ওই সময়েই এক দল দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনাতে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার মিনাক্ষী বলেন, ‘‘পুলিশ হাসপাতালের ভিতরে ছিল। দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করেছে। ফলে পুলিশ সব জানে কারা করেছে।’’ বাম ছাত্র-যুবদের অভিযোগ, এখনও অনেককে পুলিশ ধরেনি। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাত জন বাম নেতা-নেত্রীকে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিনাক্ষীকে। এ ছাড়াও ছিলেন পৌলবী মজুমদার, বিকাশ ঝাঁ, দিধীতি রায়, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, দেবাঞ্জন দে এবং দীপু দাস।
এর আগে আরজি করের ব্যারিকেড ভাঙার সময়ে সিপিএমের যুব সংগঠনের পতাকা দেখা যাচ্ছে এই রকম একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে। তার পর মিনাক্ষীরা কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের পতাকা বড়বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়।’’ সোমবার এক যুবনেত্রী বলেন, ‘‘পুলিশ ইনিবিনিয়ে নানা প্রশ্ন করেছিল। আমরা স্পষ্ট বলেছি সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে সেই রাতে আমাদের কর্মসূচির লাইভ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমেও ফুটেজ রয়েছে। পুলিশ সে সব দেখে নিতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy