Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মোর্চা ছাড়লেন বিধায়ক, নেতারা

মোর্চার আলোচনাপন্থীদের অন্দরের খবর, সরিতা-ভুজেল-শুভরা সম্ভবত নতুন কোনও সংগঠন গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু আচমকা এই দলত্যাগ কেন? সরিতা-ভুজেলদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হচ্ছে, বিনয় তামাঙ্গ ও বিমল গুরুঙ্গের থেকে সমদূরত্ব রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৮
Share: Save:

যত কাণ্ড এখন কালিম্পঙে।

এই পাহাড়ি শহরের পুরসভা দখলে আনতে শনিবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন বিনয় তামাঙ্গপন্থী কাউন্সিলররা। আর এই দিনই একযোগে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন কালিম্পঙের বিধায়ক সরিতা রাই, পুরসভার চেয়ারম্যান শুভ প্রধান, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আরবি ভুজেল-সহ এক ঝাঁক প্রথম সারির নেতানেত্রী।

মোর্চার আলোচনাপন্থীদের অন্দরের খবর, সরিতা-ভুজেল-শুভরা সম্ভবত নতুন কোনও সংগঠন গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু আচমকা এই দলত্যাগ কেন? সরিতা-ভুজেলদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বলা হচ্ছে, বিনয় তামাঙ্গ ও বিমল গুরুঙ্গের থেকে সমদূরত্ব রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকলে হয় এ পক্ষ, নয় ও পক্ষে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু মোর্চার এই নেতারা আপাতত স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে চান।

মনে করা হচ্ছে, দার্জিলিঙের বিনয় এবং কার্শিয়াঙের অনীতের নেতৃত্বও অনেকে পছন্দ করছেন না। উল্টে তাঁদের আশঙ্কা, কালিম্পং পুরসভা বিনয়রা দখল করে নিলে তাঁদের অস্তিত্ব নিয়েও টানাটানি পড়ে যাবে। তাই শুধু দলত্যাগই নয়, এসজেডিএ-র ধাঁচে কালিম্পং উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার প্রস্তাব নিয়েও রাজ্যের কাছে চিঠি দিয়েছেন সরিতারা।

এই ঘটনায় কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন বিনয়-অনীত শিবির। বিশেষ করে কালিম্পঙের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যখন তাঁরা অনাস্থা আনার জন্য তৈরি হচ্ছেন। এখন অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিনয়রা। যদিও বিনয়ের বক্তব্য, ‘‘শান্তি ও উন্নয়ন জারি রেখে আলাদা রাজ্যের দাবি আদায়ের কাজে সামিল হতে চাইলে সকলকেই স্বাগত। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’’

এর আগে কালিম্পংকে আলাদা জেলা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ১৫টি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছেন। সম্প্রতি মন ঘিসিঙ্গকে মাথায় দিয়ে পাহাড়ের জন্য একটি উন্নয়ন কমিটিও গড়েছেন তিনি। পাহাড়ের একটি অংশের ধারণা, এখন পাহাড়ে একটি শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে চাইছে না রাজ্য। তাই কার্শিয়াঙে অনীত, দার্জিলিঙে বিনয় এবং মন, কালিম্পঙে সরিতা-ভুজেলদের সক্রিয় করে রাখার এই চেষ্টা। কেউ কেউ এমনও বলছেন, এর থেকেই স্পষ্ট গুরুঙ্গের ভয় এখনও কাটেনি রাজ্যের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE