ছবি: সংগৃহীত
উৎসবের মধ্যে জলপথে বিপর্যয় রুখতে রাজ্যজুড়ে নজরদারির নির্দেশ জারি করল প্রশাসন। সম্প্রতি এডিজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায় রাজ্যের কমিশনারেট এবং পুলিশ সুপার কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। সেখানে এডিজি (ট্র্যাফিক) জানিয়েছেন, অতিরিক্ত যাত্রীবহনের প্রবণতাকে মাথায় রেখে ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা এবং নজরদারির প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
গোটা রাজ্যের সব থানা এলাকায় থাকা প্রতিটি ফেরিঘাটে একজন ‘নোডাল’ অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। নোডাল অফিসার হওয়ার কথা সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসারেরা। ‘নোডাল’ অফিসার ছাড়াও পুলিশের পদস্থ একজন অফিসার প্রতিদিন ওই এলাকায় থাকা ফেরিঘাটগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। ফেরিঘাটে লাইফ জ্যাকেট-সহ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্যের উপযুক্ত সব সরঞ্জাম মজুত রাখতে বলা হয়েছে। ফেরিঘাটগুলিতে চলাচল করা নৌকা ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের উপর নজরদারি রাখা হবে। এমনিতেই একটি নৌকো বা লঞ্চে সর্বাধিক কতজন যাত্রী বহন করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করা রয়েছে। তা মানা হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখবেন পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রতিটি ফেরিঘাটে যাত্রীর সংখ্যার উপর আলাদা করে নজর রাখার দায়িত্ব রয়েছে নোডাল অফিসারদের উপরে।
রাজ্য পুলিশ কর্তাদের অনেকের মতে, উৎসবের সময়ে যাত্রী পরিবহনের প্রশ্নে নানা অনিয়ম হয়ে থাকে। নৌকা ও লঞ্চ ‘ওভারলোড’ হয়ে থাকে। যাত্রীদের পাশাপাশি সাইকেল বা মোটর সাইকেলও পারাপার করা হয়। সেই কারণে ওই সব নৌকা ও লঞ্চের পরিবহন ক্ষমতা সীমা ছাড়িয়ে যায়। প্রশাসনের আরও নির্দেশ, প্রতিটি এলাকায় ‘জলসাথী’ বা ডুবুরিদের মজুত রাখতে হবে। কোনও ভাবে দূর্ঘটনা ঘটলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। প্রতিটি ফেরিঘাটে এমনিতে কতজন করে যাত্রী পারাপার করেন, তার আনুমানিক হিসাব তৈরি রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজন হলে সেই সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কোনও দূর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে এডিজি ট্রাফিকের দফতরে তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy