প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিলেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, যে শিক্ষকেরা মাধ্যমিকের খাতা দেখবেন, তাঁদের যেন উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা না দেওয়া হয়। একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা যাঁরা দেখবেন, তাঁদের যেন মাধ্যমিকের খাতা দেওয়া না হয়। শিক্ষকদের মতে, খুব কম সময়ের মধ্যেই এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতা দেখতে হয়। পরীক্ষার খাতা আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দিলে দুই পরীক্ষারই মূল্যায়ন অনেক ভাল হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধান থাকে। এখন মাধ্যমিকের খাতা পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষকেরা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা পেতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষার খাতাও প্রায় সেই সময়েই তাঁদের দেখতে হয়। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, একই শিক্ষকেরা প্রতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখছেন। অনেক শিক্ষক কোনও খাতাই দেখেন না। এ রকম কেন হবে? সমস্ত শিক্ষককেই খাতা বণ্টন করার দাবি জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দিয়েছি।’’
শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিশেষ কারণে শিক্ষকদের একাংশকে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দেওয়া হয় না। কোনও শিক্ষকের ছেলে বা মেয়ে যদি মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়, তখন তাঁদের সেই পরীক্ষার খাতা দেখতে দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই সংখ্যাটা নগণ্য।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিক্ষক সংগঠনের এই আবেদন সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কিন্তু অনেকগুলো দিক খতিয়ে দেখতে হবে। আলাদা আলাদা করে পরীক্ষার খাতা দেখাতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক আছেন কি না দেখতে হবে। খাতা দেখার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি সব শিক্ষকের থাকে না। সব দিক দেখে তার পরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের খাতা দেখার জন্য কিছু যোগ্যতামান প্রয়োজন। যাঁরা তা পেরোন তাঁদেরই খাতা দেখতে দেওয়া হয়। তাই সব শিক্ষককে খাতা দেওয়া যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy