অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
প্রশ্ন: কলকাতায় যাচ্ছেন? নতুন কিছু ভাবছেন?
শাহ: প্রতি মাসেই এক বার কলকাতায় যাব। টানা তিন দিন থাকব। ছোট ঘর ভাড়া নেওয়ার কথাও ভাবছি। হোটেল বা সরকারি অতিথিশালায় থাকার থেকে তা ঢের ভাল। বাঙালি আমাকে এবং আমার দলকে ভালবাসা জানিয়েছে। আমি এই ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই।
প্রশ্ন: কী ভাবে?
শাহ: আমরা বাংলার উন্নয়ন চাই| মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার আসলে খুব খারাপ, সিপিএম যুগের সম্প্রসারণ। আমরা রাজ্যে বেকার যুবকদের চাকরি দেব। তাঁদের আর লুম্পেন মাফিয়া হয়ে যেতে দেব না।
প্রশ্ন: পঞ্চায়েত ভোটে আপনারা দ্বিতীয় দল, প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছেন| কংগ্রেস-সিপিএম দুর্বল থেকে দুর্বলতর...
শাহ: (প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়েই, ঈষৎ উত্তেজিত) কিসের দ্বিতীয় ভাই? হামে নাম্বার ওয়ান বননা হ্যায়! এ বার লোকসভা ভোটে ২২টা আসন পাব। অনেক ভেবেচিন্তেই সংখ্যাটা বলেছি। তার পর বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আমরাই আসব মানুষের সমর্থন নিয়ে!
প্রশ্ন: শতকরা ভোট বাড়তে পারে হয়তো, কিন্তু ক্ষমতায় আসবেন?
শাহ: ত্রিপুরায় আমরা ক্ষমতায় আসব, কখনও ভেবেছিলেন? বাংলাতেও আমরা সফল হব। তৃণমূলের দুর্নীতি ওপর থেকে একদম তৃণমূল স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে| সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন চাকরি হয়নি, শিল্প হয়নি। কিন্তু ‘হোপ ৮৬’ হয়েছে। বিনোদন করে মূল অর্থনৈতিক সঙ্কটকে ভুলিয়ে দেওয়া। আজও মমতা সেই কাজটা করছেন।
আরও পড়ুন: অভিষেককে ‘খুনের হুমকি’, কাঠগড়ায় বিজেপি নেতা
প্রশ্ন: আপনাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার অভিযোগ করেন।
শাহ: আসলে মমতা সরকার গোটা রাজ্যের মানুষের কথা ভাবে না। উনি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেন, যা সব রাজ্যবাসীকে সমান ভাবে দেখার বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি, বাঙালি এবং এ রাজ্যের সমস্ত মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। আমরা আছি এই মানুষের সঙ্গে।
প্রশ্ন: আরএসএস-ও সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গে। মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী আর হিন্দুদের শরণার্থী বলে বিভাজন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কী বলবেন?
শাহ: রাজ্যে আরএসএস এবং বিজেপি হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে| আরএসএস কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তারা অনেক সমাজসেবামূলক কাজ করছে। আমরা অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে। যাতে আমার দেশের বৈধ নাগরিকেরা কোনও ভাবে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি কি বদল হবেন?
শাহ: বদলের প্রশ্নই নেই। বরং মোবাইলে মিসড কল দিয়ে দলীয় সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া খুব কার্যকর হচ্ছে। বুথ লেভেল পর্যন্ত বিজেপির সংগঠন মজবুত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy