সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর বেঞ্চে। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের আরও এক বিচারপতি। এ বার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের মন্থর গতি নিয়ে। ভরা আদালতে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে ভাবে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, তা চলতে পারে না। ... যা করার তাড়াতাড়ি করুন।’’
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর বেঞ্চে। সেখানেই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত বাকিরা কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন? তাঁদের কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে?’’ আবার যাঁদের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়া-নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নিয়েও প্রশ্ন করে কোর্ট। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘যাঁরা টাকা দিয়েছেন এবং যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তাঁদের হেফাজতে নিয়ে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? এখনও সিবিআই উদাসীন কেন? এত দিনে তো অনেক টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে!’’
এই সমস্ত প্রশ্নবাণের উল্টোদিকে ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী এবং কোর্টে হাজির কর্তারা। তাঁদের জবাব অপেক্ষা না করেই এর পর বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘আপনারা কী করবেন আদালত তা বার বার বলে দেবে এটা ভাল দেখায় না। নিজেদের কাজ নিজেরা করুন। কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সেটাও বলে দিতে হচ্ছে। প্রতি দিন আসছেন আর কী করবেন সেটার উপদেশ শুনে চলে যাচ্ছে। এটা চলতে পারে না। যা করার তাড়াতাড়ি করুন।’’
স্কুলে নিয়োগের মামলায় অবশ্য গত কিছু দিন ধরেই তদন্তকারী সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর দিন কয়েক আগেই কলকাতা হাই কোর্টের আর এক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই ভাবতেও পারছে না, কতটা দুর্দিন আসতে চলেছে তাদের।’’ এ বার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মুখেও সমালোচনা শোনা গেল।
সোমবার বিচারপতি বসু আরও অনেক প্রশ্নই করেছেন সিবিআইকে। তিনি বলেন, ‘‘কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করেছেন। চার্জশিট তৈরি করছেন। কিন্তু বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রেখেছেন। এরকম কেন করছেন?’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকার কারণে নিয়োগ শুরু করতে অসুবিধা হচ্ছে। এমন চললে শূন্যপদ বেড়েই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy