প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমকে পাশে চেয়েছেন তিনি। উন্নয়ন নিয়েও দলবাজির ঊর্ধ্বে উঠতে বলেছেন সকলকে।
তার পরেও স্কুলের উন্নয়নে সীতারাম ইয়েচুরির সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ নিয়ে দলবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিমাংশু দাসের অভিযোগ, ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে সীতারাম ইয়েচুরির সাংসদ তহবিল থেকে কাঁথির জুকিয়াভেড়ি মাতঙ্গিনী বিদ্যাপীঠ স্কুলের ভবন নির্মাণে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রকল্প জমা পড়ে। ২০১৭-র জুলাই মাসে ওই বরাদ্দ হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়নি। অথচ ২০১৮-র ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের তরফে স্কুলকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, সীতারাম ইয়েচুরি সাংসদ থাকার মেয়াদ ২০১৭-র অগস্ট মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি। তাই তাঁরা যেন দ্রুত ওই টাকার হিসাব জমা দেন বা অব্যবহৃত টাকা ফেরত দেন।
হিমাংশুবাবুর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে। তাঁরা জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার দাস বলেন, ‘‘২০১৬ সালে স্কুলের ভবন নির্মাণে অর্থ সাহায্য চেয়ে কয়েক জন সাংসদের কাছে আবেদন জানাই। কিন্তু সীতারামবাবুর সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানি না। স্কুলের জন্য কোনও টাকাও মেলেনি। তা হলে তা ফেরতের প্রশ্ন আসছে কী ভাবে!’’
সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘সাংসদ তহবিলের টাকা করদাতাদের দেয় অর্থ থেকে আসে। সেই টাকা এ ভাবে ফেলে রাখা বা কাজে লাগাতে না পারা অপরাধ। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদলের সাংসদদের বার বার একই অভিজ্ঞতা হচ্ছে।’’
জেলাশাসক রশ্মি কমলের দাবি, ‘‘সাংসদের সুপারিশের ভিত্তিতে উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি জেলা পরিকল্পনা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। বরাদ্দ টাকা খরচ না হওয়ায় স্কুল এখন এরকম বলতে পারে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘ওই স্কুলের উন্নয়নে বিডিওর মাধ্যমে টাকা খরচ হবে। সিপিএমের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy