দিল্লিতে খোয়া গেল তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের মোবাইল ফোন। শান্তনু নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু বলেন, ‘‘আমার স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোনটি পকেট থেকে খোয়া গিয়েছে।’’
রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে তৃণমূলের দু’দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে দিল্লিতে। সোমবার তার সূচনা হিসাবে রাজঘাটে ধর্না কর্মসূচি ছিল রাজ্যের শাসকদলের। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই ধর্না কর্মসূচিতেই শান্তনুর মোবাইলটি ফোনটি খোয়া গিয়েছে! পরে খবরটি শান্তনুই নিশ্চিত করেন। সঙ্গে থাকা এক দলীয় বিধায়কের ফোন থেকেই শান্তনু ফোন খোয়া যাওয়ার কথা জানান। ওই তৃণমূল বিধায়কও বলেন, ‘‘শান্তনু সেন আচমকাই দেখেন, ফোনটি তাঁর পকেটে নেই। আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজিও করা হয়। কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি।’’
শুধু শান্তনুই নন, ধর্না কর্মসূচিতে খোয়া গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর জুতোও। তিনিও জানান, জুতো খুলে তিনি ধর্নায় বসেছিলেন। পরে বেরিয়ে এসে দেখেন, তাঁর জুতো খোয়া গিয়েছে। সুজিত বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ বুট দিয়ে আমার পা মাড়িয়ে দিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, রাজঘাটে কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের রাজঘাট থেকে তাড়া করে বার করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। লাঠি উঁচিয়ে ছুটতে দেখা যায় তাঁদের। কিছু কর্মী-সমর্থক মারধরের অভিযোগও করেছেন। পরে রাজঘাটের সামনে যখন অভিষেক সাংবাদিক সম্মেলন করেন, সেখানেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বক্তব্য, দিল্লি পুলিশের হুইসলের নিরন্তর শব্দে কথা বলা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে থামিয়ে দেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy