নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
ডিএ বৃদ্ধি, সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত চাকরি প্রদান-সহ সরকারি কর্মচারীদের একগুচ্ছ দাবিদাওয়া না মানলে লাগাতার ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন— সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানুয়ারি মাসে শুধু লাগাতার ধর্মঘটই নয়, নবান্নের সামনে বাসস্ট্যান্ডে আমরণ অনশন করার হুমকিও দিলেন আন্দোলনকারীরা।
এ দিন ওই ধর্নামঞ্চে এসে আন্দোলনকে সমর্থন জানান সিপিএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে সরকারি কর্মচারীদের এই সমস্যার কথা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। যাতে রাজ্য সরকার তাদের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া দ্রুত মেনে নেয়।’’
রাজ্যের প্রধান সচিবালয়ের অনতিদূরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান-বিক্ষোভের জন্য আদালতের অনুমতি পেয়েছিল যৌথ মঞ্চ। আদালতেরই নির্দেশ অনুযায়ী, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ, অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। তার আগে মঞ্চের মুখ্য আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, রাজ্য জুড়ে শিক্ষক ও সরকারি কর্মীরা জনসংযোগ যাত্রায় সরকারি কর্মচারী ও চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনার কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি একটি মহামিছিল হবে। সেই মিছিল শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন ও হাজরা মোড়— এই তিন দিক থেকে এসে পৌঁছবে শহিদ মিনারের তলায়। মিছিলে শুধু শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীরাই থাকবেন না, থাকবেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরাও।
ভাস্কর বলেন, ‘‘জানুয়ারিতেই রাজ্য জুড়ে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ধর্মঘট হবে। এরপরেও রাজ্য সরকার শিক্ষক ও সরকারি কর্মী ও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি না দিলে আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হবে।’’ আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় ২০০ জন্য শুক্রবার রাতে ওই ধর্নামঞ্চে ছিলেন। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় আরও ১০০ জন আন্দোলনকারী ওই মঞ্চে এসে যোগ দেন। সারা দিনই চলে মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে স্লোগান ও বিক্ষোভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy