বাইরনের জয়ের পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক চললে বুধবার শপথ নিতে পারেন সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার শপথগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি রাজভবন থেকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে এসে পৌঁছেছে। তার পরেই বিধানসভার সচিবালয় বাইরনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। ২ মার্চ উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বাইরন। কিন্তু তার পর প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি বাইরন। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জয়ীর শংসাপত্র পেয়ে গেলেও বাইরনের শপথ আটকে থাকায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এক বার সাক্ষাতের পর বাইরনের শপথগ্রহণ নিয়ে সোমবার রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন তিনি। তার পরেই শপথগ্রহণ ঘিরে যাবতীয় জট খুলে যায়।
অধীরের ফোন পাওয়ার পরেই বাইরনের শপথ সংক্রান্ত ফাইলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। নতুন বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করানোর জন্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার স্পিকারের কাছে সরকারি নথি এসে পৌঁছনোয় বুধবার শপথের ব্যবস্থা হবে বলেই মনে করছে বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশ। জয়ের পরেই শপথগ্রহণের দাবি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন বাইরন। দলের দুই প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র ও নেপাল মাহাতকে নিয়ে স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার বাইরনের অপেক্ষার অবসান হবে বলেই জানিয়েছে বিধানসভার সচিবালয়। স্পিকার বিমান বলেছেন, ‘‘রাজভবন থেকে ফাইল অনুমোদন করা হয়েছে, খবর পেয়েছি। আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি আমার দফতরে এলেই শপথের ব্যবস্থা করা হবে।’’
বাইরনের জয়ের পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিধানসভায় এসে বাইরন নিজেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের সমর্থন পেয়ে জিতেছিলেন তিনি। আবার স্পিকারও তাঁকে তৃণমূলের পক্ষের বিধায়ক বলেই মন্তব্য করেছিলেন। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ভারচূয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বাইরনকে বিজেপির লোক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘লোকটা বিজেপির, প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সমর্থন করেছে সিপিএম।’’ সেই বিতর্কত বাইরন এ বার বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পথে। ২০২১ সালের বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটে কেবলমাত্র একজন বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এ বার কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় আসবেন বাইরন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy