রাহুল শিবিরের সমঝোতার প্রস্তাব ফেরালেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হাবরা-অশোকনগরের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়ায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের প্রকাশ্য সমালোচনা হজম করতে হয়েছে তাঁকে। জবাবে রাহুলবাবুর সঙ্গে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর, রাজাপুর এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়ার দলীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন রূপা। প্রকাশ্যে অবশ্য তিনি এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। বন্যাত্রাণের কাজে রাহুলবাবুর সঙ্গে হাওড়ায় যাচ্ছেন কি না জানতে চাওয়া হলে রূপা শুধু বলেন, ‘‘না, যাচ্ছি না। আমার শরীরটা খারাপ। আমি বাড়িতে আছি। সারা দিন টিভি দেখছি। কারও সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আমি নিজের মনে আছি।’’
হাবরা-অশোকনগরে গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়ার পরে রূপার পাশে দাঁড়াননি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। বরং, তিনি বলেছিলেন, ওই কর্মসূচি দলের ছিল না। দলের রাজ্য নেতৃত্বের এমন অবস্থানে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও আহত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রূপা। তাঁর প্রতি দলীয় নেতৃত্বের আচরণে ক্ষুব্ধ বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশও। যার পরিণামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া অন্য বিজেপি নেতারা দলেরই কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এই পরিস্থিতির চাপে রূপার সঙ্গে সমঝোতা করতে আজ, মঙ্গলবার হাওড়ায় রাহুলের ত্রাণ সফরে সঙ্গী হওয়ার জন্য দলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বিজেপি সূত্রের খবর, রূপা তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুলবাবু তাঁকে যে অপমান করেছেন, তা হজম করতে তাঁর সময় লাগবে।
আগামী শুক্র ও শনিবার দলের নতুন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে বিজেপি-র প্রশিক্ষণ শিবিরে রূপা, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে রূপা দলকে জানিয়েছেন, শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি ওই কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy