শাসক দলের প্রার্থীদের ভোট দিন অথবা পাঠিয়ে দিন ফাঁকা ব্যালট! রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে এ ভাবেই দাদাগিরি চলছে বলে চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফরমান না-মানলে যেখানে-সেখানে বদলির হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফোনে।
কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী সদস্য মনোনয়ন করার জন্য কাউন্সিলের সব ভোটারের কাছে ডাকে ব্যালট পাঠানো হয়। ভোটারেরা পছন্দের প্রার্থীদের নাম বাছাই করে পাঠিয়ে দেন। এ বছর ব্যালট দেওয়ার কাজ ২০ জুলাই শুরু হওয়ার কথা। ২৩ অগস্ট পর্যন্ত প্রার্থী নির্বাচন করে ব্যালট পাঠানো যাবে। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, পছন্দের প্রার্থীদের নাম না-লিখে ফাঁকা ব্যালট পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন শাসক দলের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন (পিডিএ)-এর নেতারা।
নির্বাচনে পিডিএ-র জনপ্রিয়তা তলানিতে বুঝেই হুমকি শুরু হয়েছে, অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। অভিযোগ, পিডিএ-র তরফে শান্তনু সেন ফাঁকা ব্যালট পাঠানোর জন্য সব চিকিৎসককে বারবার এসএমএস করছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসক মহলের কাছে একটাই আবেদন, বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে শামিল হোন।’’
কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার ভোটার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৮০০ সরকারি চিকিৎসক। একাংশের অভিযোগ, সরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে ভুয়ো ভোটার প্রায় ৩৫০।
চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের নেতা সজল বিশ্বাসের অভিযোগ, স্বচ্ছ নির্বাচনের সদিচ্ছা নেই কাউন্সিলের। সরকারি চিকিৎসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের অন্য সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের নেতা চিকিৎসক রেজাউল করিমও বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোথায় কত ফাঁকা ব্যালট সংগ্রহ করতে হবে, তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হচ্ছে।’’
শুক্রবার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীর কাছে দেখা করে ভুয়ো ভোটার তালিকা, ফাঁকা ব্যালট পাঠানোর হুমকি ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ জানান চিকিৎসকদের পাঁচটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy