Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rujira Banerjee

সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা, অভিষেক-পত্নীকে জেরা করতে দিল্লি থেকে এসেছেন ইডির দুই কর্তা

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডি তলব করেছিল রুজিরাকে। ইডির দফতরের বাইরে বিধাননগর থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দফতরে প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি করছে পুলিশ।

Rujira Banerjee

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১১:১৮
Share: Save:

বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (যেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতর রয়েছে)-এ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। যদিও তার আসার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। ইডির দফতরে প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি করছে পুলিশ। ইডির দফতরের বাইরে বিধাননগর থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ব্যারিকেড দিয়েও ঘিরে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে ইডির আধিকারিকেরা সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছেন। দিল্লি থেকে আসা এক জন আধিকারিক হলেন পঙ্কজ কুমার। তাঁর সঙ্গে এসেছেন সহকারী ডিরেক্টর পদের এক কর্তাও। সূত্রের খবর, বেলা ১২টা ৫ মিনিটে বাড়ি থেকে বার হন রুজিরা। বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি।

সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল রুজিরাকে। সকাল ৭টা নাগাদ দুবাইয়ের বিমান ধরার জন্য দুই সন্তান-সহ কলকাতার বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিমান ধরার আগেই অভিবাসন দফতরের কর্মীরা ‘বাধা’ দেন রুজিরাকে। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক-পত্নী।

রুজিরাকে আটকানোর প্রসঙ্গ টেনে এনে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অমানবিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে আগে জানিয়েছিলেন রুজিরা। ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি দেওয়া ছিল। যদি ও কখনও বাইরে যায়, তবে ইডিকে জানাবে। সেই অনুযায়ী ও ইডিকে জানিয়েছে অনেক দিন আগেই। তখন ইডি বলতে পারত ‘তুমি যেও না।’ কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে নোটিস ধরানো হাতে, যে ৮ তারিখে তুমি এসো..., অমানবিক জিনিস চলছে।’’

অভিবাসন দফতর সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় রুজিরার নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি হয়েছে। তাই তাঁর বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ইডির ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক এবং রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিয়ে জানিয়েছিল, তাঁদের বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই, তা সত্ত্বেও রুজিরাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা।

গত বছর জুন মাসে সন্তান কোলে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অতীতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সমন পেয়ে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু রাজধানীর ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরিবর্তে কলকাতার ইডির দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক-পত্নী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy