মূলত সাতটি বাস মালিক সংগঠনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফাইল চিত্র
এই মুহূর্তে কলকাতা শহরে কত বাস চলছে, তা জানতে চেয়ে বাস মালিকদের সংগঠনগুলিকে চিঠি দিলেন পরিবহণ দফতরের অধীনে কলকাতার পরিবহণ আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ (আরটিও)। শারদোৎসব শেষ হওয়ার পরেই ১৮ অক্টোবর বাস মালিকদের সংগঠনগুলিকে এই তথ্য জানাতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, সেই চিঠির উত্তরে কোনও সাড়া না পাওয়ায় চলতি মাসের ৮ তারিখে সংগঠনগুলিকে ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে। মূলত সাতটি বাস মালিক সংগঠনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, অল বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস সমন্বয় সমিতি, সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেস, ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জয়েন্ট কাউন্সিল অব সিন্ডিকেট, বাস মিনিবাস অপারেটর কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও অল বাস-মিনিবাস কমিটি/সিন্ডিকেটের মতো সংগঠনগুলিকে এই চিঠি পাঠিয়েছে আরটিও অফিস।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে শহর কলকাতায় সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার বাস চলত। বেসরকারি ভাবে আমরা জানি বর্তমানে বাসের সংখ্যা কমে তিন হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু, সরকারি ভাবে কোনও তথ্য আমাদের হাতে নেই। তাই সঠিক তথ্য পেতে এমন চিঠি আরটিও মারফৎ দেওয়া হয়েছে।’’ পরিবহণ দফতরের আরও একটি সূত্র জানাচ্ছে, করোনা মহামারির সময় কত বাস পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে। কোন কোন রুটে বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে, সেই বিষয়ে তথ্য হাতে নিয়ে নতুন বাস পারমিট দিতে চাইছে সরকার। সংগঠনগুলি মারফত এই এই তথ্য সহজে পাওয়া সম্ভব বলেই এই পন্থা নেওয়া হয়েছে। আর বাস মালিকদের সংগঠনগুলি পরিবহণ দফতরের এই ভাবনার কথা জেনেই প্রকৃত তথ্য দিতে কিছুটা হলেও গড়িমসি করছে। কারণ, কোভিড অতিমারিতে পরিবহণ ব্যবসা লাটে উঠেছে বলেই মত তাদের। এমতাবস্থায় তাদের হাতে থাকা বাস চালানোই দুষ্কর হয়ে উঠছে। কোনও ভাবে নতুন বাসের পারমিট নেওয়ার পক্ষপাতী নয় তারা। তাই প্রথম চিঠি পাওয়ার পরেই তারা পরিবহণ দফতরের ডাকে সে ভাবে সাড়া দেয়নি।
সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের পক্ষে টিটো সাহা বলেন, ‘‘আমরা সরকারের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করতে রাজি। পুজোর ছুটিতে এই তথ্য দেওয়া সম্ভব ছিল না। পুজোর ছুটি কেটে গেলেই আমরা তথ্য সংগ্রহ করে আরটিও-তে তা জানাব।’’ আর ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘সব রুটের তথ্য আমাদের হাতে এখনও আসেনি। ধীরে ধীরে আমরা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি। কিছু রুটের হিসেবে আমরা আরটিও-তে জমা দিয়েছি। বাকি তথ্য হাতে পেলেই তা জমা দেওয়া হবে।’’ সম্মিলিত ভাবে বাস মালিক সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, পুজোর আগে রাস্তায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বাস চলাচল করলেও, বর্তমান সময়ে তা আড়াই হাজারে নেমে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy