বিমলেন্দু সিংহরায়।
এক সময় করিমপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। এ বার সেই করিমপুরেরই বিধায়ক হলেন বিমলেন্দু সিংহরায়। তবে পাঁচ বছরের জন্য পূর্ণ সময়ের জন্য নয়, এক বছরের কিছু বেশি তাঁর মেয়াদ। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি থাকলেও দলেরই অনেকে বিমলেন্দুকে সে ভাবে চিনতেন না। করিমপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সেই বিমলেন্দুকেই প্রার্থী করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী হওয়ার পর বিমলেন্দু বলেন, ‘‘এই প্রথম সে ভাবে স্বীকৃতি পেলাম।’’
বিমলেন্দুর পৈতৃক ভিটে করিমপুর ২ ব্লকের মুরুটিয়ার বালিয়াডাঙা গ্রামে। ১৯৭৬ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে কৃষ্ণনগরে থাকলেও তিনি নিজেকে ‘করিমপুরের ভূমিপূত্র’ বলে পরিচয় দেন। বালিয়ডাঙা হাইস্কুল থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করে তিনি ইংরেজি অনার্স নিয়ে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজে পড়া। তার পর এমএ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮৫ সালে তিনি মুড়াগাছা হাইস্কুলে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ২০০০ সালে প্রধান শিক্ষক হন। ২০১৩ সালে শিক্ষারত্ন ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। দুই পুরস্কারের টাকাই দান করেছেন স্কুলের উন্নতির জন্য।
তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনাও কলেজ জীবন থেকেই। ছাত্র পরিষদ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে মমতার অনুগামী। তৃণমূলের সংগঠনে তেমন জায়গা না পেলেও জেলায় শিক্ষক নেতা বলেই তিনি পরিচিত। তৃণমূলের শিক্ষা সেলে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে জেলার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সদস্য ছিলেন শিক্ষা দফতরের জেলাস্তরের পরিদর্শন দলেরও। প্রথম বার ভোটের মাঠে নেমেই ২৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়। গণনার শেষে বিমলেন্দু বলেন, ‘‘এই জয়ের কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর মহুয়া মৈত্রের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy