Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Legislative Assembly

ন্যায় সংহিতা-সহ তিন ফৌজদারি আইন নিয়ে আলোচনার তারিখ পিছিয়ে গেল বিধানসভায়

গত ১ জুলাই থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’-সহ তিন ফৌজদারি আইন। বিধানসভা অধিবেশনে এই তিন আইন নিয়ে আলোচনার তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে বলে বিধানসভা সচিবালয় সূত্রে খবর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৮
Share: Save:

ন্যায় সংহিতা-সহ তিন ফৌজদারি আইনের পর্যালোচনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিন পরিবর্তন হল বিধানসভায়। আগামী ২৬ এবং ২৯ জুলাই এই প্রস্তাব বিধানসভায় আলোচনার কথা ছিল। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, সেই তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩১ জুলাই এবং ১ অগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবর্তে আগামী শুক্র ও সোমবারের অধিবেশনে ইন্দো-ভুটান বন্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

এখনও অবধি আগামী ১ অগস্ট পর্যন্ত অধিবেশনের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। অধিবেশন চলবে ৫ অগস্ট পর্যন্ত। আগামী ৩০ জুলাই দু’টি আইন বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিনই কার্যবিবরণী সমিতির (বিজ়নেস অ্যাডভাইসরি কমিটি) বৈঠকে স্থির করা হবে অধিবেশনের পরবর্তী কর্মসূচি।

সোমবার বিধানসভা অধিবেশন শুরু হয়েছে। ছ’দিনের অধিবেশনে নিট প্রসঙ্গের পাশাপাশি প্রস্তাব পাশ করানো হবে কেন্দ্র প্রণীত তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন নিয়েও। ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ বাতিল হয়ে গত ১ জুলাই থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ (বিএনএসএস), ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (বিএনএস) এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ (বিএসএ) আইন। গত বছর ডিসেম্বরে ওই তিন আইন পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের দ্বিতীয় মোদী সরকার। সে সময় সংসদের দুই কক্ষের প্রায় দেড়শো বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। অন্য দিকে, বিরোধী নেতারা প্রথম থেকেই এই তিন আইনকে ‘রাওলাট আইন’ বলে দেগে দিয়ে তার বিরোধিতা করে এসেছেন। বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’র যুক্তি ছিল, এই আইনে পুলিশ এবং রাষ্ট্রকে বহুল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, এ ছাড়াও দেশদ্রোহিতা সংক্রান্ত ধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা যে কোনও সময় যে কোনও ব্যক্তি বা বিরোধী রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারবে কেন্দ্র। বিধানসভার সূচি অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার এই তিন আইনের বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল। সেই তারিখই পিছিয়ে গেল এ বার। যদিও এ বিষয়ে বিধানসভার সচিবালয়-সহ রাজ্যের কোনও মন্ত্রী এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এই তিন আইন খতিয়ে দেখতে আগেই সাত সদস্যের কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়। এ ছাড়াও রয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং আইনজীবী সঞ্জয় বসু। রাজভবন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের কাছে কমিটি সম্পর্কে তথ্য তলব করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সময়ে জবাব দিয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ। বানানা রিপাবলিকও হয়ে উঠতে পারে না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy