খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক। নিজস্ব চিত্র
পুরসভা ভোটে বিধাননগর থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছিল সকাল থেকে। কোথাও ভুয়ো ভোটার, তো কোথাও বুথের বাইরে থেকে অশান্তির খবর আসছিল। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদক সারমিন বেগম ও চিত্র-সাংবাদিক স্নেহাশিস প্রামাণিক। অকথ্য গালিগালাজ, তার পর চ়়ড়-ঘুষি। শনিবার সকালে সল্টলেকের এএইচ ব্লকের কমিউনিটি হলে এ ভাবেই আক্রান্ত হলেন আনন্দবাজার অনলাইনের দুই প্রতিনিধি। এখানেই শেষ হল না আক্রমণ। ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় প্রতিবেদকের। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের পরিচয়পত্র। খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
শনিবার সকালে সল্টলেকের এএইচ ব্লকের কমিউনিটি হলের ভোট বুথের সামনে অশান্তির খবর মিলছিল। দ্রুত সেখানে পৌঁছন আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদক সারমিন। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছতেই মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন কয়েক জন। বিনা প্ররোচনায় তাঁকে প্রথমেই ‘তুই তোকারি’ বলে সম্বোধন করা হয়। হুমকির সুরে এক জন বলেন, ‘‘তুই কে? এখান থেকে চলে যা।’’ সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও সারমিনকে আক্রমণ করেন তাঁরা। তাঁর সাংবাদিক পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া বলা হয়, ‘‘তুই এখন কিছু নয়।’’ তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন আর এক ব্যক্তি। মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয় তাঁদের অভব্যতার সমস্ত প্রমাণ। তার পর এক ব্যক্তির নিদান, এখনই ওই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। কিছু ক্ষণ ধরে কথা কাটাকাটির পর চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে ঠেলতে ঠেলতে রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় সারমিনকে। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন স্নেহাশিস। তবে ওই দুষ্কৃতীরা কোন রাজনৈতিক দলের তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদক সারমিন ওই এলাকার একটি বুথে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করেন। মধ্যমগ্রাম থেকে ভোট দিতে সল্টলেক এসেছেন বলে জানান ওই মহিলা। কিন্তু তাঁর ভোটার পরিচয়পত্র চাইতেই ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে চলে যান তিনি। তখন ওই মহিলার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে হুমকি দিতে থাকেন। আর তার পরেই এই আক্রমণের ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy