এই রায় বিচার ব্যবস্থার জয়, বললেন শুভেন্দু অধিকারী প্রতীকী চিত্র
আদালতে স্বস্তিতে শুভেন্দু অধিকারী। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল শুভেন্দুকে গ্রেফতার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। নতুন এফআইআর হলে শুভেন্দুকে জানাতে হবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। ফলে আপাতত স্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের অনুমতি ছাড়া এফআইআরও করা যাবে না।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কলকাতা-সহ রাজ্যের পাঁচটি থানায় দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলা প্রসঙ্গে ওই নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। শুভেন্দু আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, হয় মামলাগুলি খারিজ করা হয় অথবা সিবিআই তদন্ত হোক। যুক্তি ছিল, প্রতিটি মামলাই রাজ্যনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং তাঁর রাজ্য পুলিশের উপর কোনও ভরসা নেই।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দুকে কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁর মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত করতে হবে। সিআইডি বা পুলিশ হঠাৎ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেই তাঁর পক্ষ হাজির হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তৎকালীন তৃণমূলের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভবানীভবনে শুভেন্দুকে তলব করেছিল সিআইডি। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
আপাতত একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
রায় ঘোযণার পর শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে রাজ্য চালান, সে ভাবে দেশের আইন ব্যবস্থা চলে না। এই রায় তার প্রমাণ। বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করার চক্রান্ত সফল হবে না, এই রায় বিচার ব্যবস্থার জয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy