প্রবীর ঘোষাল। ফাইল ছবি।
ফের বেসুরো উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যেতেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে আরও এক বার মুখ খুললেন প্রবীর। বুধবার তৃণমূল-মুখপত্রের উত্তর সম্পাদকীয়তে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। শিরোনাম, ‘কেন বিজেপি করা যায় না’। নীচে লেখা, ‘ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি’।
২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন প্রবীর। কিন্তু বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে তৃণমূল থেকে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি-তে ইনিংস শুরু হয় তাঁর। উত্তরপাড়া বিধানসভা আসনে তাঁকে প্রার্থীও করেছিল কেন্দ্রের শাসকদল। যদিও তৃণমূলপ্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে হেরে যান তিনি। বিজেপি-র হয়ে প্রথম বার ভোটে লড়তে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তিনি মূলত সেকথাই লিখেছেন তৃণমূলের মুখপত্রের উত্তর সম্পাদকীয়তে।
কী ভাবে বিজেপি-র একাংশ তাঁর প্রার্থিপদ মেনে নিতে পারেনি, সেই বর্ণনা প্রবীর দিয়েছেন নিজের লেখায়। জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করে অন্য কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার জন্য পরামর্শ পাওয়ার কথাও লিখেছেন তিনি। ভোটের আগে ‘বিজেপি-র হিন্দিভাষী পর্যবেক্ষক’দের আগমনের ফলে উদ্ভূত সমস্যার বিষয়টিও উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। তিনি কেন বিজেপি-র মতো দলে বেমানান তাও বোঝাতে চেয়েছেন বুধবার প্রকাশিত এই উত্তর সম্পাদকীয়তে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবি হতেই সুর বদলেছিলেন বিজেপি-র প্রার্থী। ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি-র কোনও শীর্ষ নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রবীর। তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর কোনও বিজেপি নেতা খোঁজ নেননি বলেও আক্ষেপও করেছিলেন। যদিও সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা তাঁকে অভিভূত করেছিল।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব। প্রবীরের এই লেখা প্রকাশের পর বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়বে বই কমবে না। প্রবীরের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কি এক ধাপ এগিয়ে রাখল এই নিবন্ধ? রাজনৈতিক মহলের একাংশ অন্তত তেমনটাই মনে করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy