Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Recruitment Scam

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হুগলির শান্তনু-কুন্তল, এ বার চাকরি গেল জেলার এক তৃণমূল নেত্রীরও

টুম্পার দাবি, তিনি কোনও জালিয়াতি করেননি। পরীক্ষায় পাশ করেছেন। এসএসসি-র নিয়োগের চিঠি এবং তালিকায় নাম প্রকাশের পরেই তিনি পাঁচ বছর আগে চাকরিতে যোগ দেন।

Image of Kuntal Ghosh and Santanu Banerjee

শিক্ষা-দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের নামের যে তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে ওই নেত্রীর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৩
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি গ্রেফতার করেছে হুগলির জেলা পরিষদ সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আদালতের নির্দেশে বিদ্যালয়ের চাকরি খোয়ালেন ওই জেলা পরিষদেরই তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটে। বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

সূত্রের খবর, শিক্ষা-দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের নামের যে তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে টুম্পার। তাঁর বাপের বাড়ির পদবি বাকুলি। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে টুম্পা বাকুলি নামেই উল্লেখ রয়েছে। তিনি শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করতেন।

টুম্পার দাবি, তিনি কোনও জালিয়াতি করেননি। পরীক্ষায় পাশ করেছেন। এসএসসি-র নিয়োগের চিঠি এবং তালিকায় নাম প্রকাশের পরেই তিনি পাঁচ বছর আগে চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন খুব খারাপ লাগছে। সম্মানের প্রশ্নও রয়েছে। অথচ কোনও ভুল নেই আমার।’’ এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন বলে টুম্পা এবং তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মেটে জানান। মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘‘স্ত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। পরের বছর এপ্রিলে চাকরি পান। লেনদেনের কোনও বিষয় ছিল না। কার গাফিলতিতে চাকরি গেল, জানি না। চাকরি যাওয়ার নির্দেশ সরাসরি পাইনি। খবরে এবং ওয়েবসাইটে দেখেছি।’’

পিয়ারাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বিষয়টি নিয়ে পোস্টার পড়েছে। এলাকার কংগ্রেস নেতা শেখ রসিদ বলেন, ‘‘চাকরি যে সঠিক পথে হয়নি, প্রমাণ হয়ে গেল।’’

টুম্পা জানান, চাকরির বেতন নেওয়ায় তিনি জেলা পরিষদের সাম্মানিক নেন না। চাকরি এবং জেলা পরিষদ— দু’টিই দায়িত্ব নিয়ে পালন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য। দফতরে রোজ যেতে হয় না। প্রয়োজন পড়লে স্কুল করেও জেলা পরিষদে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেছি। এলাকায় অনেক কাজ করেছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Scam Hooghly TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy