পুস্তক দিবসেই রাজ্যের সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বইয়ের সঙ্গে ডায়েরি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন থেকেই ডায়েরি ব্যবহার করতে পারবে পড়ুয়ারা। ২ জানুয়ারি, পুস্তক দিবসে কিন্তু সেই ডায়েরি হাতে পেল না তারা। স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটিতে ডায়েরি সময়মতো দেওয়া যায়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পড়ুয়াদের হাতে ডায়েরি পৌঁছে যাবে।
আইসিএসই বা সিবিএসই বোর্ডের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়াদের ডায়েরি দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই ডায়েরিতে সারা বছরের ছুটি থেকে শুরু করে পড়াশোনা সংক্রান্ত নানা তথ্য থাকে। তেমনই ডায়েরি এ বার সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন থেকেই চালু করার কথা ছিল। ওই ডায়েরি এক ঝলক চোখ বোলালে অভিভাবকেরাও বুঝতে পারবেন, ক্লাসে কী পড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের কাছে যে-ডায়েরি থাকবে, তাতে শিক্ষকেরা লিখে রাখবেন, তাঁরা ক্লাসে কী কী পড়ালেন। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, শিক্ষক ও পড়ুয়া দু’পক্ষের ডায়েরি থেকে বোঝা যাবে, সারা বছরে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের কী পড়ানো হচ্ছে ও কী ভাবে পড়ানো হচ্ছে।
শিক্ষক শিবিরের একাংশের অভিযোগ, পড়ুয়ারা শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে ডায়েরি না-পাওয়ায় প্রথম দিনের ক্লাসে কী হল, তা নথিবদ্ধ করতে পারল না তারা। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের কী পড়ানো হল, তা নথিভুক্ত করতে পারলেন না শিক্ষকেরা। পড়ুয়ারাও লিখতে পারল না, কী পড়ল তারা। ‘‘তা হলে ঢাকঢোল পিটিয়ে পুস্তক দিবসেই ডায়েরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল কেন,’’ প্রশ্ন স্বপনবাবুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy