—ফাইল চিত্র।
গত মে মাসে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৬ সালের নোটবন্দির মতো যাতে জনমানসে ‘আতঙ্ক’ না তৈরি হয়, তার জন্য অনেকটা সময়ও দেওয়া হয়েছিল গ্রাহকদের। অতঃপর শুক্রবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, কত ২০০০ টাকার নোট তাদের কাছে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে আরবিআই এ-ও জানিয়েছে যে, ২০০০ টাকার নোট এখনও ‘বৈধ’। তবে তা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় জমা দিতে হবে।
চলতি বছরের ১৯ মে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে। পরে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর করা হয়। এই সময়কালের মধ্যে বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের ৯৭.২৬ শতাংশ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। যে সময়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে, তখন বাজারে ছড়িয়ে-থাকা নোটের মোট অর্থমূল্য ছিল ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে এখনও এই নোটকে ‘অবৈধ’ বলছে না তারা। কেন? গত ৭ অক্টোবরের পর ৯ অক্টোবর থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন দফতরে ২০০০ টাকার নোট জমা নেওয়া চলছিল। তারা জানিয়েছে, সেই কাজ এখনও চলবে। তার অর্থ কী? ধরা যাক, কারও কাছে এখনও ১০টি ২০০০ টাকার নোট রয়ে গিয়েছে। তিনি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম ফিল আপ করে নোটগুলির নম্বর দিয়ে তা জমা দিতে পারবেন। সেই পরিমাণ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে তিনি অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠাতে (ট্রান্সফার) পারবেন না। ব্যক্তির পাশাপাশি সংস্থার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার অ্যাকাউন্টেই জমা পড়বে। অন্য কোনও সংস্থাকে ওই টাকা দেওয়া (ট্রান্সফার) যাবে না।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ‘নোটবন্দি’ করে পুরনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বাজারে আনে নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু তিন বছর যেতে না যেতেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিতে হয় আরবিআইকে। ২০০০ টাকার নোট জাল হওয়াও শুরু হয় ব্যাপক হারে। তার পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ‘ক্লিন নোট’ নীতি ঘোষণা করে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy