আমরা লাগাতার ধরনায় বসতে চলেছি এবং আমাদের সমস্যাগুলির সদর্থক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এই ধরনা চালিয়ে যেতে মনস্থ করেছি প্রতীকী ছবি
আজ থেকে খাদ্য দফতরের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধরনায় বসেছেন রাজ্যের সমস্ত রেশন ডিলাররা। ১ এপ্রিল তাঁদের সংগঠন 'জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারস'-এর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে তাঁদের ধরনা কর্মসূচির প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন রেশন ডিলাররা। ২৪ দফা দাবিতে এই ধরনা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন বলেন খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, "আমরা লাগাতার ধরনায় বসতে চলেছি এবং আমাদের সমস্যাগুলির সদর্থক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এই ধরনা চালিয়ে যেতে মনস্থ করেছি।" রেশন ডিলাররা আরও লিখেছেন, "দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ আমাদের ব্যবসা ক্রমশই অলাভজনক হয়ে পড়ছে এবং দৈনন্দিন খরচ চালিয়ে আমাদের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। এর উপর ক্রমাগত অসম্ভব আদেশনামা আমাদের প্রতি একতরফা ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং আপনার দফতর এক প্রতিহিংসামূলক মনোভাব গ্রহণ করেছে চলেছে।"
মূলত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও ন্যায্য পাওনা না পাওয়ার কারণে ডিলাররা রাজ্য খাদ্য দফতরের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তিনি বলেন, "খাদ্য দফতর যে ভাবে একের পর এক নির্দেশ রেশন ডিলারদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, তাতে রেশন ব্যবস্থা আগামী দিনে ভেঙে পড়বে। আমরা চাই সুষ্ঠু আলোচনা মারফত সব সমস্যার সমাধান হোক। বহু বার চিঠি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও আমাদের কোনও দাবির সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারস-এর অধীনে রাজ্যের ২২ হাজার রেশন ডিলার রয়েছেন।সংগঠনের দাবি, দফায় দফায় রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তের রেশন ডিলাররা খাদ্য দফতরের সামনে ধরনা দিতে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প দুয়ারে রেশন নিয়েও আপত্তির কথা জানিয়েছেন রেশন ডিলাররা। রেশন ডিলারদের একাংশ জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে যাঁরা ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন, সেই সব রেশন ডিলাররা এখনও পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য টাকা পাননি। যে ২৪টি দাবির কথা জানিয়ে তাঁরা ধরনা কর্মসূচি শুরু করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল-- রেশন ডিলারদের সঠিক কমিশন দেওয়া।প্রশাসনিক স্তর থেকে রেশন ডিলারদের উপর প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ বন্ধ করা ও শাস্তি প্রত্যাহার করা।সরকারি পর্যায়ে প্রতিটি আদেশ বা নির্দেশ লিখিত আকারে দিতে হবে।কোনও রকম হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নির্দেশ দান চলবে না। রেশন ডিলারদের আরও দাবি-- মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ ও শেষ সপ্তাহে রেশন সরবরাহের ব্যবস্থা ও মাঝের সপ্তাহে ছুটি দেওয়ার ভাবনা রাখতে হবে। ঐচ্ছিক বা পারিবারিক অসুবিধার জন্য ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। ব্লক রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি করা হলে অবিলম্বে তা খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রেশন ডিলারদের উপর চাপ দেওয়া চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy