ভোটার কার্ড পেলেন রানু। বুধবার রানাঘাট ২ ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে কন্যাশ্রী দিবসে সচিত্র পরিচয়পত্র পেলেন রাণু মারিয়া মণ্ডল। যদিও সেই কার্ডে তাঁর নাম ‘রেণু রায়’!
বুধবার নোকারিতে রানাঘাট ২ ব্লক অফিস চত্বরে এক অনুষ্ঠানে রাণুর হাতে ওই পরিচয়পত্র তুলে দিয়েছেন বিডিও খোকন বর্মন। তিনি বলেন, “জন্মের শংসাপত্র দেখে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ‘রেনু রায়’ নাম লেখা হয়েছে। ওঁর আধার কার্ডও প্রায় তৈরি। শীঘ্রই তা ওঁকে দেওয়া হবে। ওঁর ঘরের জন্য জায়গা দেখা হয়েছে। সেখানে ওঁকে বাড়ি করে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। সব রকম সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে।”
রানাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ভিক্ষা করার সময়ে রাণুর গলায় লতা মঙ্গেশকরের গান শুনে মোবাইলে ভিডিয়ো করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এক যাত্রী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই রাণুর ভাগ্য ফিরে যায়। সংবাদমাধ্যম থেকে টিভি চ্যানেল তাঁকে নিয়ে মাতামাতি শুরু করে। ইতিমধ্যে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর গান রেকর্ডও করা হয়েছে। এ বার পাশে দাঁড়াল প্রশাসনও। এ দিন ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেগোপাড়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে গাড়িতে দুপুর ১টা নাগাদ এসে পৌঁছন রাণু। ঘণ্টাখানেক তিনি সেখানে ছিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা এবং উপহার দেওয়া হয়ে। সকলের অনুরোধে তিনি ‘ইয়ে মেরে বতন কি লোগোঁ’ গানটি গেয়েও শুনিয়েছেন। অনেকে তার সঙ্গে সেলফিও তোলেন। পরে রাণু বলেন, “আমার বাপের বাড়ির পদবি ছিল রায়। সেই কারণে পরিচয়পত্রে এই নাম রয়েছে। এটা পাওয়ায় খুব ভাল হল। দিল্লি-মুম্বই থেকে ডাক এসেছে। এ বার সেখানে যাওয়ার ইছা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে এসে খুব ভাল লাগল। সবাই আমাকে খুব ভালবেসেছে।” কয়েক দিন আগে কৃষ্ণনগর চার্চ তাঁরা রাণুর জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে প্রতিবেশী তপন দাস বলেন, “পরিচয়পত্র না থাকায় আমরা ওঁকে কোথাও নিয়ে যেতে পারছিলাম না। ট্রেনে বা বিমানে টিকিট কাটতে গেলে তো পরিচয়পত্র লাগে! এ বার উনি যেতে পারবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy