Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রেসিডেন্সিতে ছবি ব্যাডমিন্টন কোর্টে

প্রেসিডেন্সির প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখানো যায়নি কর্তৃপক্ষের অনড় আপত্তিতে। পোর্টিকোয় সেটি দেখানো যায়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ না-থাকায়।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৪
Share: Save:

ক্যাম্পাসের প্রেক্ষাগৃহে হয়নি। পরে ঘোষিত স্থান পোর্টিকোতেও হল না। তবে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ পটবর্ধনের তথ্যচিত্র ‘রাম কে নাম’ দেখানো হল ক্যান্টিনের কাছে ইন্ডোর ব্যাডমিন্টন কোর্টে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ছবিটি দেখলেন কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকাও।

প্রেসিডেন্সির প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখানো যায়নি কর্তৃপক্ষের অনড় আপত্তিতে। পোর্টিকোয় সেটি দেখানো যায়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ না-থাকায়। তবে এ দিন তথ্যচিত্রটি দেখতে ইন্ডোর ব্যাডমিন্টন কোর্ট সম্পূর্ণ ভরে যায়। প্রচুর ভিড়ের জন্য কোর্টের বাইরেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। প্রথমে কোর্টের একটি দরজা খোলা হয়েছিল। ভিড় বাড়তে থাকায় পরে দ্বিতীয় দরজাটিও খুলতে হয়। তবে ওই দরজার তালা খোলার চাবি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই ভাঙতে হয় তালা।

পড়ুয়ারা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এজেসি বোস প্রেক্ষাগৃহে তথ্যচিত্রটি দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক টানাপড়েনের পরেও অনুমতি দেননি কর্তৃপক্ষ। ডিন অব স্টুডেন্স অরুণ মাইতির বক্তব্য, কর্তৃপক্ষ কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে ক্যাম্পাসের হল বুক করে অনুষ্ঠান করতে দেবেন না। এ দিন তিনি জানান, পোর্টিকো বা ব্যাডমিন্টন কোর্ট— কোথাও ওই ছবি দেখানোর অনুমতি নেননি পড়ুয়ারা। এ দিন ছবিটি যে দেখানো হয়েছে, সেটা তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকেই জানতে পারেন। পোর্টিকোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না কেন, সেই বিষয়ে তাঁরা খোঁজ নেবেন বলে জানান অরুণবাবু। পড়ুয়াদের পক্ষে সায়ন চক্রবর্তী জানান, পোর্টিকোয় ছবিটি দেখানোর কথা লিখিত ভাবে জানাতে তাঁরা বৃহস্পতিবার ডিনের দফতরে যান। কিন্তু তিনি তখন সেখানে ছিলেন না। ডিনের দফতরের কর্মীরা চিঠিটি নিতে অস্বীকার করেন। তার পরে এ দিন সকালেও সেখানে বারবার যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিন চিঠি নিতে চাননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Presidency University Politics Ram Ke Naam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE