প্রতীকী ছবি।
প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সোনা চুরি করে রাজস্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। পুলিশ যাতে খুঁজে না পায় তাই পরিবারকে নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন দিঘার একটি হোটেলে। সোমবার সেই হোটেল থেকেই অভিযুক্ত রাহুল শেখকে বমাল গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। পরে তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের সাঁচোরে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন রাহুল। ওই দোকানের কর্মী রাহুল। আড়াই বছর ধরে কাজ করেছেন। দিন পনরো আগে ৪০০ গ্রাম সোনা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার কামারপুরের বাসিন্দা রাহুল। তার পরই পুলিশের চোখে ধুলে দিতে সপরিবার দিঘার একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন তিনি।
সোনা চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে রাজস্থানের সাঁচোর থানা। অভিযুক্তের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করতে গিয়ে নাকাল হতে হয় তাঁদের। সাঁচোর থানার সাব-ইনস্পেক্টর রাজু সিংহ বলেন, “বার বার অবস্থান বদলাচ্ছিলেন রাহুল। ফলে তাঁকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।” সম্প্রতি দিঘার একটি এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য মোবাইল ফোনটি সুইচ অন করেন রাহুল। তখনই টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে দিঘা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে সাঁচোর থানা।
রাজু সিংহের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিঘায় আসে। এর পরই দিঘা থানার সহযোগিতায় ওই হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই ৩০০ গ্রাম সোনা-সহ রাহুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি ১০০ গ্রাম সোনা কোথায় তার খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সাব ইনস্পেক্টর রাজু সিংহ বলেন, “অভিযুক্তের কাছ থেকে তিনশো গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। বাকি সোনা কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই অভিযুক্তকে রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy