সপ্তমীতেও বৃষ্টির আশঙ্কা। — ফাইল চিত্র।
ষষ্ঠীর মতো সপ্তমীর রাতেও কি বৃষ্টি হবে? দিনভর বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ আবারও উস্কে দিল এই আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রয়েছে সপ্তমী থেকে দশমী, পুজোর চার দিনই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায়। ভিজবে উত্তরবঙ্গও। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি, আঁধার জমছে দর্শকদের মনের কোণেও।
রবিবার সকালে বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর,পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। হুগলির পাণ্ডুয়া, বৈঁচি, ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, সিঙ্গুরে বৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হুগলিতে আকাশ মেঘলা। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বৃষ্টি হয়েছে। নদিয়ার কল্যাণী, রানাঘাট শান্তিপুর, নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর, চাপড়া, দেবগ্রাম, বেথুয়া, পলাশি, পলাশিপাড়া, বেতাই, নাজিরপুর এবং করিমপুর সর্বত্র হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। সকালের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। বিকেল থেকে আবার শুরু হয় বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা, তমলুক মহিষাদল-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে দুপুরের দিকে। সপ্তমীর দুপুরে বৃষ্টি শুরু হয় মেদিনীপুর-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকাতেও।
বর্ধমান শহরে বৃষ্টি হয়েছে দুপুরে। পাশাপাশি, বৃষ্টি হয়েছে গুসকরা, আউশগ্রাম-সহ কয়েকটি এলাকায়। সপ্তমীর দুপুর থেকে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলেও শুরু হয় বৃষ্টি। আসানসোলের বার্নপুর রোডে একটি পুজো মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে। যার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পৌঁছে তা সরিয়ে দেয়। স্বাভাবিক হয় রাস্তার পরিস্থিতি। সপ্তমীর সকাল থেকে বাঁকুড়ায় আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলা বাড়তেই ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বেলা ১২টা থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হয় বাঁকুড়া শহর এবং আশপাশের এলাকায়। তবে শুধু বাঁকুড়া শহরই নয় বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয় দুপুরের পর। তার ফলে গৃহবন্দি থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। সপ্তমীর দুপুরের পর পুরুলিয়া জেলাতেও বৃষ্টি শুরু হয়। এ ছাড়া পুরুলিয়া শহর লাগোয়া এলাকা মানবাজার এবং রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকাতেও বৃষ্টি হয়।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং দুই দিনাজপুরে বৃষ্টি তেমন হয়নি। তবে সকালে বৃষ্টি হয় মালদহে। তার জেরে ইংরেজবাজারের একটি পুজো মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বৃষ্টি এবং মেঘলা আকাশকে থোড়াই কেয়ার করে জেলায় জেলায় পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বহু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy