Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণাবর্তে ভাসল অষ্টমী, পরেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

পূর্বাভাস ছিলই। ফলে আশঙ্কাও। কিন্তু আশা জাগিয়েছিল সপ্তমীর ঝলমলে আকাশ। এ দিন নির্ভার মনেই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। তবে রাত পোহাতেই মহাষ্টমীর সকালে নামল মন খারাপ করা বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নবমী এবং দশমী এই দু’দিনও পাহাড় ও সমতলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে।

শিলিগুড়ির অগ্রগামী সঙ্ঘের মণ্ডপে জমেছে জল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শিলিগুড়ির অগ্রগামী সঙ্ঘের মণ্ডপে জমেছে জল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২২
Share: Save:

পূর্বাভাস ছিলই। ফলে আশঙ্কাও। কিন্তু আশা জাগিয়েছিল সপ্তমীর ঝলমলে আকাশ। এ দিন নির্ভার মনেই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। তবে রাত পোহাতেই মহাষ্টমীর সকালে নামল মন খারাপ করা বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নবমী এবং দশমী এই দু’দিনও পাহাড় ও সমতলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে। দশমীতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পুর্বাভাস।

মহাষ্টমীর সকালে বৃষ্টিভেজা মণ্ডপ। কেউ উপায় বাতলেছেন, বালি ফেলার। কেউ বা কোদাল খুঁজছেন মাটি কাটার জন্য। অঞ্জলির আগে মণ্ডপ থেকে জমা জল বের করার জন্য ব্যস্ততা চলল মণ্ডপে মণ্ডপে। কোথাও আবার মণ্ডপে কাঠের পাটাতন পেতে দাঁড়ানোর জায়গা হল, কোথাও বা থৈ থৈ জল কাদায় পা ডুবিয়েই হল মন্ত্রোচারণ।

শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার, মালদহ, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং সর্বত্রই সকাল হতেই নামে অঝোরে বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে একটি ঘূর্ণাবর্ত সিকিম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার টানেই বঙ্গোপসাগর থেকে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ছে উত্তরবঙ্গে। এর জেরেই শুরু হয় বৃষ্টি। রবিবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি সিকিমেও বৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ঘুর্ণাবর্ত খুবই শক্তিশালী রয়েছে। সে কারণেই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। আপাতত ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী দু’দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে।’’

এ দিন সকাল এগারোটার পর থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে নবদ্বীপ, শান্তিপুর, বেথুয়াডহরি, রাণাঘাট, কল্যাণী, চাকদহ এলাকায়। কৃষ্ণনগরে সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বিকেলে বৃষ্টি নেমেছে। তবে দর্শনার্থীদের অবশ্য টলানো যায়নি। ছাতা মাথায়, রেনকোট পরে লাইন দিয়ে ভিড় হয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। নদিয়ার সবচেয়ে বড় পুজো হয় বাদকুল্লায়। এ দিন সেখানে বিকেল তিনটে থেকে প্রায় পৌনে ছ’টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বাদকুল্লার এক পুজো উদ্যোক্তা জহর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁদের পুজো মণ্ডপের মাঠে বৃষ্টির জল যাতে জমতে না পারে সেই জন্য বালি ফেলা হয়েছে তড়িঘড়ি। কেউ আবার রাস্তার কাদা সামলাতে পেতে দিয়েছেন প্লাইউড।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy