Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পরিবেশের স্বার্থে রেল রাশ টানতে চায় কার্বনে

রেলকর্তারা জানান, শুধু জ্বালানির ব্যবহারে তারতম্য ঘটিয়েই কয়েক বছরে ৩৩ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য আনা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন ডিজেল। বাড়ানো হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ এবং বায়ো ডিজেলের ব্যবহারও।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০৩:৩৫
Share: Save:

গাছ লাগিয়ে, জলা বাঁচিয়ে, ট্রেনে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে পরিবেশ বাঁচানোর কাজে এগিয়ে আসছে রেলও। এ বার পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্বন নির্গমন কমানোর প্রকল্প হাতে নিল তারা।

রেলকর্তারা জানান, শুধু জ্বালানির ব্যবহারে তারতম্য ঘটিয়েই কয়েক বছরে ৩৩ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য আনা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন ডিজেল। বাড়ানো হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ এবং বায়ো ডিজেলের ব্যবহারও। ট্রেনের ব্রেকিং ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটিয়েও কমানো হচ্ছে কার্বন নির্গমন। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়াতে দু’টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে রেল। স্টেশন এবং রেল ওয়ার্কশপের ছাদে বসানো সৌর প্যানেলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ মূল গ্রিডে পাঠানো হচ্ছে।

জলের পুনর্ব্যবহারও শুরু করেছে রেল। রেলকর্তারা জানান, রেলের জমিতে যে-সব জলা বাঁচাতে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। বহু স্টেশনে জল শোধন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। দূষণ কমাতে ট্রেনের কামরায় প্রায় দেড় লক্ষ বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে আরও এক লক্ষ বায়ো টয়লেট বসানো হবে।

পরিবেশ বাঁচাতে লাগানো হচ্ছে গাছ। রেল সূত্রের খবর, এ বছর দেড় কোটি চারা লাগানো হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রকের সঙ্গে রেলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যে-ভাবে কাজ চলছে, তাতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১০ বছরে রেলের দূষণ প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশা রেলকর্তাদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE