দমদম এবং শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেন ঢোকা-বেরোনোটাই যে মূল সমস্যা, সেটা মেনে নিলেন পূর্ব রেলের কর্তারা। সোমবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও তাঁর অফিসারদের নিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে এই শাখার ট্রেন চলাচলের সমস্যা নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে এই বিষয়টি উঠে আসে। রেল সূত্রে বলা হয়, এখন শিয়ালদহ শাখায় কেন ট্রেন সময়মতো চলছে না তার সঠিক কারণ জিএম-কে জানাতে পারেননি কর্তারা।
দমদম এবং শিয়ালদহে অনেক আগেই নতুন প্রযুক্তির ‘নন ইন্টারলক সিস্টেম’ বসেছে। কিন্তু ওই প্রযুক্তির সুফল কেন মিলছে না জেনারেল ম্যানেজার আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। ট্রেনগুলিকে বারবার স্টেশনে ঢোকার আগে কেন থামিয়ে রাখতে হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও চান রাও। কিন্তু রেল কর্তারা তার কোনও সঠিক জবাব দিতে পারেননি বলে রেল সূত্রের খবর। জেনারেল ম্যানেজার এই বিষয়টি রেল কর্তাদের বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শিয়ালদহ শাখায় লোকাল ট্রেন চলাচল নিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। বারবার ক্ষোভ বিক্ষোভের পরেও এই ডিভিশনে ট্রেন চলাচলের তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এমনকি অন্যান্য শাখায় ১২ কামরার লোকাল ট্রেন চালানো শুরু হলেও এই শিয়ালদহের মেন ও বনগাঁ শাখায় ১২ কামরার লোকাল ট্রেন চালানো শুরু হয়নি। ফলে প্রতিটি ট্রেনেই সকাল-সন্ধ্যা বাদুড় ঝোলা ভিড়। একদিকে নিত্য লেট, অন্যদিকে কামরাগুলিতে ভিড়ের চাপে যাতাযাত করতে গিয়ে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠছে।
শুধু তাই নয়, এই শাখায় অনেক স্টেশনেরই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের মেঝের চেয়ে নীচু। ফলে যাত্রীদের ট্রেন ওঠা-নামা করতে অসুবিধা হয়। অনেকে পড়ে গিয়েও জখম হয়েছেন। জেনারেল ম্যানেজার প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে ওই সমস্যা দূর করতে হবে। দেখতে হবে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে যাত্রীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়।
মালদহ দিয়ে শুরু করে বনগাঁ, পেট্রাপোল এবং গেদে সীমান্ত, ঘুরে এই দিন শিয়ালদহ ঘুরে দেখেন জেনারেল ম্যানেজার। আজ, মঙ্গলবার তিনি আসানসোল যাবেন। তারপরে যাবেন, অন্ডাল ও পাকুড়। পূর্ব রেলে কয়লা পরিবহণ কিছুটা কমে য়াওয়ায় আসানসোলে মূলত পণ্য পরিবহণ নিয়েই আলোচনা করবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy