—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফুট ওভারব্রিজ তৈরির দাবিতে সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ট্রেন অবরোধ শুরু হয়েছিল ব্যারাকপুর স্টেশনে। রেলের তরফে এই বিষয়ে অবরোধকারীদের আশ্বাস দেওয়া হলে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। রেল সূত্রে খবর, সকাল ১১টার পর ধীরে ধীরে শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা করছেন রেল কর্তৃপক্ষও। তবে রেলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দু’ঘণ্টার জন্য শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে।
সোমবার সকালে রেল ওভারব্রিজ তৈরির দাবিতে ব্যারাকপুর স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। রেল অবরোধের জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন শিয়ালদহ মেন শাখার আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। রেলের তরফে বলা হয়, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। নিত্যযাত্রীদের মধ্যে কেউ জানান, কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি থাকা পরিজনকে দেখতে গিয়ে আটকে পড়ছেন। আবার কেউ জানান, দেরি হলে অফিসে গেলেও হাজিরা খাতায় সই করতে পারবেন না।
অবরোধকারীদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালে আমফান ঝড়ে ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝখানে থাকা ফুট ওভারব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর রেলের তরফ থেকে গোটা ফুট ওভারব্রিজটি নতুন করে তৈরির কথা বলে ভেঙে দেওয়া হয়। সেই প্রতিশ্রুতির পর দীর্ঘ ৩ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন অবরোধকারীরা। ফুট ওভারব্রিজটি না থাকায় প্রতি দিন নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
সোমবার ‘নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ’-এর ব্যানারে ফুট ওভারব্রিজের দাবিতে ‘রেল রোকো’র ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো ওই সংগঠনের ব্যারাকপুর শাখার তরফে স্টেশন চত্বরে সকাল ৮ থেকে জমায়েত করা হয়। ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বরে অবরোধকারীরা একটি মিছিল করেন এবং তাঁদের বক্তব্য রাখেন। তার পরেই তাঁদের পূর্ব পরিকল্পিত ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ নম্বর গেটে অবরোধ শুরু করা হয় সকাল ৯টা নাগাদ। রেল পুলিশের আধিকারিকেরা গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। আন্দোলকারীরা ব্যারাকপুরের স্টেশন ম্যানেজার কেএল বিশ্বাসের ঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং স্টেশন ম্যানেজারকে তাঁদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
এই প্রসঙ্গে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছিলেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রেলের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে তিনি অবরোধকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। ফুট ওভারব্রিজটির বিষয়টি যে রেল গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy