রাহুল সিংহ। ফাইল চিত্র।
বুধবার রাহুল সিংহ বলেছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে কিন্তু রাহুলবাবুর ক্ষোভের প্রসঙ্গ উঠলই না। চর্চা সীমাবদ্ধ রইল পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গেই। বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশের সঙ্গে রাহুলবাবুও ছিলেন। পরে ওই বৈঠক নিয়ে রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তাঁর সহকারী ফোনে বলেন, ‘‘দাদা আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।’’
বিজেপির সর্বভারতীয় পদাধিকারীর তালিকা থেকে বাদ পড়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাহুলবাবু। বলেছিলেন, ‘‘৪০ বছর বিজেপির সেবা করার পর তৃণমূল থেকে নেতা আসছেন বলে আমাকে সরতে হল। পরবর্তী পদক্ষেপ ১০-১২ দিনের মধ্যে জানাব।’’ রাহুলবাবুকে সরিয়ে তৃণমূল থেকে যাওয়া অনুপম হাজরাকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক করায় দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার কলকাতায় শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৈঠক হয় রাহুলবাবুর। শিবপ্রকাশ তাঁকে দিল্লির ওই বৈঠকে যেতে বলেন। সেই কারণেই বুধবার দিল্লি যান রাহুলবাবু। দিল্লির বিমান ধরতে যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে এক দল বিজেপি সমর্থক তাঁকে বলেন, পদ না পেয়ে দিল্লি যাওয়া চলবে না। রাহুলবাবু তাঁদের বোঝান, তিনি দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ সৈনিক। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের ডাক অগ্রাহ্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ দিন নড্ডা-শাহর সঙ্গে বৈঠকে রাহুলবাবুর ক্ষোভের প্রসঙ্গই না ওঠায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ঘুরছে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কি তাঁর ‘পুনর্বাসন’ নিয়ে ভাবিত নন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy