— ছবি সংগৃহীত
অসুস্থদের বাড়িতে পরিষেবা দেওয়া নিয়েও এ বারে জাতপাত বিচারের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, অসুস্থ এক মুসলিম বৃদ্ধার সেবার জন্য আয়া সেন্টারে গিয়ে আয়া পাননি তাঁর কলেজ শিক্ষিকা কন্যা। মুসলিম বলেই সেই সংস্থা আয়া পাঠাতে রাজি নয় বলে দাবি তাঁর।
মালদহ জেলা সদরের ইংরেজবাজার শহরের এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন আইরিন শবনম। যদিও সেই আয়া সংস্থার পাল্টা দাবি, মুসলিম পরিবারে আয়া পাঠানো হবে না, এমন কোনও কথাই তারা বলেনি। তাদের আরও দাবি, তাদের সংস্থায় মুসলিম আয়াও রয়েছে। তাই জাতপাত বিচারের প্রশ্ন আসার কথাই নয়। করোনা আবহে অনেক আয়া কাজে যেতে চাইছেন না এননটাই বলা হয়েছিল আইরিনকে। সোস্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টের প্রক্ষিতে পাল্টা তারা আইনি পথে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে।
আইরিন জানিয়েছেন, শহরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁর মা, মীরচক সারদাপল্লির বাসিন্দা জাহানারা আরজু (৭৩)। শুক্রবার নার্সিংহোম থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারে বাকিরা অসুস্থ থাকায় ওই বৃদ্ধার সেবার জন্য আয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। শহরেরই কালীতলার বাসিন্দা, ইটাহারের মেঘনাথ সাহা কলেজের শিক্ষিকা আইরিনের দাবি, স্বামী গৌতম চৌধুরীকে নিয়ে শনিবার ইংরেজবাজার থানার কাছাকাছি ওই আয়া সেন্টারে যান। ওই সেন্টারের কর্ণধার একটি ফর্ম পূরণ করতে বলেন। কিন্তু মায়ের নাম শোনার পরেই নাকি বলেন, ‘মুসলমান, তা হলে হবে না। মেয়েরা যেতে চায় না।‘ আইরিনের আরও দাবি, তিনি ও তার স্বামী অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, লাভ হয়নি। আইরিন বলেন, ‘‘আমি মর্মাহত। এখন রোগীর ধর্ম বিচার করা হচ্ছে, এটা ভাবতেই আমি ব্যথিত ও অপমানিত।’’
আইরিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলে বিশিষ্টজনেরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আয়া সংস্থার কর্ণধার ঝর্ণা দাস বলেন, "আমাদের ২০ বছরের সংস্থাকে বদনাম করতে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে আইনি পথে যাব প্রয়োজনে।" তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের এখানে হিন্দু, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মহিলাই কাজ করেন। তাঁরা পরিষেবাও দেন। সেই প্রমাণ আমাদের আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy